ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ ডায়রিয়া’

প্রকাশিত: ১১:২০, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

‘বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ ডায়রিয়া’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডায়রিয়া এখনও বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় সফলতা পেলেও বাংলাদেশে এখনও প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। ২০১৭ সালে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এবং ২০১৯ সালে ২৩ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকায় ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ ডায়রিয়া। জাতীয় ও পুষ্টিনীতি তৈরি হওয়ার পর গত দু’ দশকে বাংলাদেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে পুষ্টির স্তর কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। বাংলাদেশের পুষ্টির উন্নয়নে জনবলের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে টাইফয়েড, কলেরা, অপুষ্টি, অন্ত্রের অন্যান্য রোগের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে তিন দিনব্যাপী ১৫তম ডায়রিয়া ও পুষ্টি বিষয়ক এশীয় সম্মেলনের (এ্যাসকড) উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। আইসিডিডিআরবি’র উপ নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ) মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেন্স, সুইডেনের ইউনিভার্সিটি অব গোথেবার্র্গের অধ্যাপক ইয়ান হোমগ্রেন, আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক ও এ্যাসকডের সভাপতি ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘টাইফয়েড, কলেরা, অপুষ্টি, অন্ত্রের অন্যান্য রোগের সঙ্গে পুষ্টি সংশ্লিষ্ট ব্যাধির সম্পর্ক : মানবিক বিপর্যয়ের যুগে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ।’ মঙ্গলবার থেকে শুরু করে ডায়রিয়া ও পুষ্টি বিষয়ক পঞ্চদশ এশীয় সম্মেলনের (এ্যাসকড) মাধ্যমে ৪৫০ গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, নীতি-নির্ধারক এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন কর্মীরা সমবেত হয়েছেন।
×