ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহে কৃষকের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

ঠাকুরগাঁওয়ে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহে কৃষকের চরম ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ সদর খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে গিয়ে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী ও তালিকাভুক্ত কৃষকেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ গুদামে ধান সরবরাহ করতে গিয়ে শতাধিক কৃষক গুদামের সামনে ধানের ট্রলি নিয়ে সারাদিন ও সারারাত বসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বলছেন তাদের সাথে যোগাযোগ না করেই অসংখ্য কৃষক এক সাথে গুদামে হাজীর হওয়ায় এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা হলো ছয় হাজার মেট্রিক টন। এ গুদামে আগামী ২৮ফেব্র“য়ারির মধ্যে তালিকাভুক্ত কৃষকের নিকট থেকে মোট এক হাজার ছয়শ’ ৪৭ মেট্রিক ধান সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শৈত্য প্রবাহ ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শুকাতে না পারায় কৃষকেরা ধান সরবরাহ করতে পারছিলেন না। এমতাবস্থায় ২/৩দিন আগে কৃষকদের কাছে খবর যায় ২৮জানুয়ারির মধ্যে ধান সরবরাহ দিতে ব্যর্থ কৃষকদের তালিকা বাতিল করে খাদ্য বিভাগ আবার লটারীর মাধ্যমে নতুন করে কৃষকদের তালিকা তৈরী করা হবে। এ খবর পেয়ে সকল কৃষক তাদের বরাদ্দকৃত ধান নিয়ে সদর খাদ্য গুদামে হুমরী খেয়ে পড়েন। এ গুদামের সামনে গত রবিবার থেকে ধান বোঝাই ট্রলিসহ কৃষকের দীর্ঘ লাইন লেগে আছে। কৃষকেরা অভিযোগ করেন, গুদাম কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা ও ধান গ্রহণে সঠিক নিয়ম না মানার কারণে তাদের ধান নিয়ে গুদামের সামনে বসে দিন ও রাত কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া ধানের দাম পেতেও তাদের ৪/৫দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে তাদের চরম ভোগান্তি ও হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। এ দিকে প্রত্যক্ষদর্শীগন জানান, কৃষকের ভীড়ের কারণে তারাহুরো করে ধান গ্রহণ করতে গিয়ে ধানের গুণগতমান রক্ষা করে ধানের পরিবর্তে ময়লা-আর্বজনাযুক্ত ও মানহীন ধান গুদামে ঢুকছে। এ ব্যাপারে সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ শাহ্ বলেন, অনেক আগে থেকে ধান সরবরাহের জন্য কৃষকদের তাগিদ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আবহাওয়াজনিত কারণেই হোক আর যেকোন খবরেই হোক সকল কৃষকেরা ক্রমান্বয়ে এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে তাদের ধান নিয়ে একসাথে গুদামে হাজীর হওয়ায় এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে যথ দ্রুত সম্ভব ধানের গুণমান পরীক্ষা করে সকল কৃষকের কাছ থেকে ধান গ্রহণ করার এবং বিল পরিশোধ করার।
×