ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কটির সংস্কারের অভাব

প্রকাশিত: ০২:১৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কটির সংস্কারের অভাব

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, চট্টগ্রাম ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন প্রতিটি গ্রাম হবে ‘শহর’। এই স্বপ্ন নিয়ে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় হচ্ছে দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ। কিন্তু চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি বড়ুয়ার নামের একটি গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ার কারণে মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি বড়ুয়া নিজ বাড়ি ছেড়ে এখন পটিয়া শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এলাকাবাসির অভিযোগ, যুগযুগ ধরে গ্রামীণ সড়কের কোন উন্নয়ন কাজ না করার কারণে বর্ষা মওসুম ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তাদের রাস্তাটি কাঁদা মাটিতে ভরপুর থাকে। যার কারণে এলাকার লোকজন পায়ে হেঁটে পর্যন্ত চলাচল করতে পারেন না। মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কটি নামকরন করা হলেও পটিয়া উপজেলা প্রশাসন দীর্ঘদিন এটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি। জানা গেছে, উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি বড়ুয়া ছিলেন একজন শিক্ষক। তাদের গ্রামটি পটিয়া বাইপাসের দক্ষিণ-পশ্চিমে ভাটিখাইন ইউনিয়নের করলগ্রাম। এই গ্রামে রয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমান সম্প্রদায়ের বসতি। করল এলাকায় রয়েছে ঠেঁগরপুনি বুড়োগোঁসাইর বৌদ্ধ মন্দির। এখানে প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমা ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি হয়ে থাকে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার লোকজনের সমাগম ঘটে। বৌদ্ধ মন্দির ছাড়াও করল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করল সুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল কান্তি বড়–য়া সড়ক। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গ্রামীণ এই সড়কটি সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তদারকির অভাবে ৫০ হাজার টাকার প্রকল্প কাজ ঠিকমত বাস্তবায়নও হয়নি। বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি বড়ুয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তাদের গ্রামীণ সড়কটি সংস্কারের অভাবে এখন প্রায় অকেজো। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না। যা খুবই দু:খজনক। ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বখতিয়ার জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি বড়ুয়া সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে উন্নয়ন কাজ করা যাচ্ছে না। এলজিইডি, পিআইও অথবা চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের বরাদ্দ না পেলে সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব হবে না। মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি সড়কটি সংস্কার করতে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×