ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আত্রাইয়ে বাঁশের সাঁকো ১৫ গ্রামের মানুষের ভরসা

প্রকাশিত: ১২:১৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

আত্রাইয়ে বাঁশের সাঁকো ১৫ গ্রামের মানুষের ভরসা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৭ জানুয়ারি ॥ আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ক্ষিদ্র কালিকাপুর নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর ওপর দিয়ে চলাচলের একমাত্র ভরসা ইজারাদারের নির্মিত বাঁশের সাঁকো। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিকতার যুগে স্বাধীনতার ৪৮বছর পার হলেও নওগাঁর ছোট যমুনা নদী পারাপারের জন্য আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর নামক স্থানে একটি ব্রিজের অভাবে বর্ষা মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় এবং শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এলাকার ২ ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের মানুষের। জানা গেছে, আত্রাই উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী। ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষ তাদের পারিবারিক প্রয়োজনে বর্ষা মৌসুমে নৌকায় ও শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে যখন বিলের পানি কমতে থাকে তখন পানি-কাদায় একাকার অবস্থায় হেঁটেই আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল্লাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জেলা ও উপজেলা সদরে চলাচল করে। নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর নাব্য সঙ্কটের কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় ঘোষগ্রাম-ক্ষিদ্র কালিকাপুর নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য একটি বাঁশের সাঁকোর ওপরই ভরসা করতে হয় দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের। যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ না থাকায় আত্রাই উপজেলার বিল বেষ্টিত কালিকাপুর ইউপির অবহেলিত জনপদের মধ্যে আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল্লাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া বড়কালিকাপুর গ্রামসহ রানীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, নান্দাইবাড়ি, আতাইকুলা, বেতগাড়ী গ্রামের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক জরুরী সুযোগ-সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত। ওই গ্রামগুলোতে সবচেয়ে বেশি বোরো ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য সহজভাবে বাজারজাত করতে না পারায় নায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হয়। কিছুটা বাধ্য হয়ে ফরিয়া ও মহাজনদের কাছে চলমান বাজার মূল্যের চেয়ে কমদামে কৃষি পণ্য বিক্রি করে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও এলাকাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কারো যেন মাথাব্যথা নেই। অথচ ওইস্থানে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে রানীনগর-আত্রাই উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি পূরণ হবে। আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর গ্রামবাসী জানান, এখানে ব্রিজ না থাকায় প্রায় সারা বছরই কষ্ট করে নদী পারাপার হতে হয় তাদের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম বলেন, এখানে ২ উপজেলার মানুষের পারাপারের জন্য বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে নৌকা এবং বাঁশের সাঁকোর ওপর ভরসা রাখতে হয় প্রায় ১৫টি গ্রামের বসবাসরত জনসাধারণের। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ ইসরাফিল আলম এমপিসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করছি।
×