ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাঘারপাড়ার গৃহবধূ হত্যায় আসামিদের ফাঁসি দাবি

প্রকাশিত: ১২:১৩, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

বাঘারপাড়ার গৃহবধূ হত্যায় আসামিদের ফাঁসি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বাঘারপাড়ার গৃহবধূ জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যায় তার স্বামী, দেবর, ননদ ও শাশুড়িসহ সকল আসামিকে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পিতার পরিবার। পাশাপাশি নিহতের স্বামী ও দেবরের চাকরিচ্যুতি এবং আলিফ ও হামজা দুই সন্তানের নিরাপত্তার দাবি করা হয়েছে। সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত তুলির পিতা শহিদুল ইসলাম, মাতা সকিনা বেগম এবং ভাই আলমগীর হোসেন আলম। এ সময় লিখিত বক্তব্যে নিহত তুলির ভাই আলমগীর হোসেন আলম বলেন, ২০১১ সালের ৮ জুলাই বাঘারপাড়া উপজেলার পান্থাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মোশারফ হোসেনের ছেলে জুলফিকার আলীর সঙ্গে তার বোন জিনিয়া ইয়াসমিন তুলির বিয়ে হয়। তুলির স্বামী জুলফিকার আলী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরি করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’টি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ে করার বিষয়টি গোপন রেখে ২০১২ সালে জুলফিকার বাহিনীতে যোগদান করেন। চাকরির পর তুলিকে নিয়ে তার স্বামী ঢাকার বালুঘাটে বসবাস করতেন। এরই মধ্যে জুলফিকার আলী গোপনে আখি আফরিন প্রিয়া নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আর এতে তাদের সংসারে নানাবিধ অশান্তির সৃষ্টি হয়। সে কারণে গত ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফিকারের নির্দেশে তার ভাই শাহাবুদ্দিন বাড়িতে আসে। ওইদিন সন্ধ্যায় জুলফিকারের মা ফরিদা বেগম, বোন সুরাইয়া খাতুনসহ এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে তুলিকে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তুলির পিতা বাদী হয়ে জুলফিকার আলী, তার ভাই শাহাবুদ্দিন, বোন সুরাইয়া খাতুন ও মা ফরিদা বেগমের নামে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন।
×