ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কট ॥ রোগীদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ১২:১২, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কট ॥ রোগীদের ভোগান্তি

সংবাদদাতা, সোনারগাঁ, ২৭ জানুয়ারি ॥ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য কর্মচারী সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসক দ্বারা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা থাকলেও তার বিপরীতে ৫ জন চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন রোগীদের। ফলে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে চিকিৎসক না থাকায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধা রোগীদের সমস্যা হচ্ছে বেশি। অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারী ব্যবস্থাপনা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ রোগীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছেন। তাই সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসা সেবা নিতে টিকেট কাটার জন্য শত শত রোগীদের দীর্ঘলাইন। এদিকে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা সজীব মোহাম্মদ রায়হান রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ জন রোগীকে সেবা দিতে হয়। যা একজন বা দু’জন ডাক্তারদের পক্ষে সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। আনন্দ বাজার এলাকা থেকে আসা রুমা আক্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম চিকিৎসক না থাকায় পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মাকসুদা আক্তার ব্যবস্থাপত্রে কোন কিছু না লিখে তার বাসা বাড়িতে বিকেল ৩টার সময় যাওয়ার জন্য একটি ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দেন। আরেক রোগী আসমা আক্তার অভিযোগ করে জানান, আমার ১ বছরের সন্তানকে সকাল ৯টায় ডাক্তার দেখাতে এসেছি। বেলা বারটা হয়ে গেছে তারপরেও ডাক্তার আসেনি। এই হাসপাতালে কর্মকর্তরা আমাকে এই কক্ষ থেকে ওই কক্ষে পরে চিকিৎসক নেই এই কথা বলে তাই সেবা না পেয়ে ফিরে যাই। সূত্রে জানা গেছে, এ হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও রয়েছে ৫ জন। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা, জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনী বিশেষজ্ঞসহ ৫ চিকিৎসক রয়েছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট এ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জারি, মেডিক্যাল কর্মকর্তাসহ পদগুলো শূন্য রয়েছে। আটজন সহকারী সার্জনের মধ্যে ৫ জনকেই সংযুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে। আর বাকি তিনটি সহকারী সার্জনের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ফার্মাসিষ্ট এর পদটি শূন্য থাকায় অফিস সহকারী ও হারবাল এসিস্ট্যান্ট দিয়েই চালানো হচ্ছে ওষুধ বিতরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ কুমার শাহা বলেন, চিকিৎসক সঙ্কটের বিষয়ে বিভাগীয় পরিচালককে জানানো হয়েছে।
×