ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিত্রাপাড়ে মিনি সুন্দরবনে নির্বিচারে চলছে পাখি শিকার

প্রকাশিত: ১২:১১, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

চিত্রাপাড়ে মিনি সুন্দরবনে নির্বিচারে চলছে পাখি শিকার

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিত্রাপাড়ের মিনি সুন্দরবনে হাজার-হাজার পাখির আশ্রয়স্থল গড়ে উঠলেও সেখানে এখন তারা নিরাপদ নয়। অসাধু শিকারিরা জাল ও ফাঁদ পেতে নির্বিচারে করছে পাখি শিকার। পাশাপাশি বন্দুক দিয়েও পাখি শিকারের অভিযোগ রয়েছে। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এই মিনি সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও পাখিদের রক্ষার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার খিলিগাতী, ডুমুরিয়া, খড়িয়া, আরুলিয়াসহ চিত্রা নদীর দু’পাড়ে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা মিনি সুন্দরবনের পরিবেশ বদলে দিয়েছে এখানকার দৃশ্যপট। নদীর দু’পাড়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছপালা জন্ম নিয়েছে। সুন্দরী, কেওড়া, গরান, গোলপাতাসহ হরেক রকম গাছে ভরপুর। বনের এসব গাছপালায় রাতে হাজার হাজার পাখি এসে আশ্রয় নেয়। পাশাপাশি শীত মৌসুমে অতিথি পাখি এখানে খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু শিকাার পাখি শিকার করছে। বনের অনেক স্থানে কারেন্ট জাল ও ফাঁদ পেতে রেখেছে । এসব জাল ও ফাঁদে আটকে মারা যাচ্ছে অনেক পাখি। এতে পাখিরা হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানান অনেকে। ঝালডাঙ্গা গ্রামের শেখ কেসমত আলী, খিলিগাতী গ্রামের পাখিপ্রেমী মুকুল চন্দ্র ঢালীসহ অনেকে জানান, প্রতিদিন এখানকার বনে পাখি দেখতে শত শত লোক ছুটে আসে। এখানকার পাখিদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে আগামীতে পাখিদের উপস্থিতি থাকবে না। জরুরীভাবে পাখি শিকার ও নিধন বন্ধ করতে হবে। প্রাণী ও পাখি বিশেষজ্ঞ শরীফ খানের সঙ্গে কথা হলে তিনি পাখি শিকারের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানান, পাখিরাও পরিবেশের অংশ। তাদেরও মুক্তভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। পাখিদের রক্ষার জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম জানান, পাখি শিকার দ-নীয়। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×