ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

১৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

নিজস্ব সংবাদদাতা,নওগাঁ॥ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ক্ষিদ্র কালিকাপুর নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর ওপর দিয়ে চলাচলের একমাত্র ভরসা ইজারাদারের নির্মিত বাঁশের সাঁকো। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিকতার যুগে স্বাধীনতার ৪৮বছর পার হলেও নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর ওপর দিয়ে পারাপারের জন্য আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর নামক স্থানে একটি ব্রীজের অভাবে বর্ষা মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় এবং শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এলাকার ২ ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের মানুষের। জানা গেছে, আত্রাই উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী। ওই এলাকার বসবাসরত মানুষকে তাদের পারিবারিক প্রয়োজনে বর্ষা মৌসুমে নৌকায় ও শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। শুস্ক মৌসুমে যখন বিলের পানি কমতে থাকে তখন পানি-কাদায় একাকার অবস্থায় পায়ে হেঁটেই আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল্লাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জেলা ও উপজেলা সদরে চলাচল করে। নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় ঘোষগ্রাম-ক্ষিদ্র কালিকাপুর নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য একটি বাঁশের সাঁকোর ওপরই ভরসা করতে হয় দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে। যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ না থাকায় আত্রাই উপজেলার বিল বেষ্টিত কালিকাপুর ইউ'পির অবহেলিত জনপদের মধ্যে আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল্লাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া বড়কালিকাপুর গ্রামসহ রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, নান্দাইবাড়ি, আতাইকুলা বেতগাড়ী গ্রামের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক জরুরী সুযোগ সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ওই গ্রামগুলোতে সবচেয়ে বেশি বোরো ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পন্য সহজ ভাবে বাজারজাত করতে না পারায় নায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হয়। কিছুটা বাধ্য হয়ে ফরিয়া ও মহাজনদের কাছে চলমান বাজার মূল্যের চেয়ে কমদামে কৃষি পন্য বিক্রি করতে হয় তাদের। এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও এই এলাকাবাসির ভাগ্য উন্নয়নে কারো যেন মাথা ব্যথা নাই। অথচ উক্ত স্থানে ব্রীজটি নির্মাণ করা হলে রাণীনগর-আত্রাই উপজেলাবাসির প্রাণের দাবি পূরণ হবে। আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর গ্রামবাসী জানান, এখানে ব্রীজ না থাকায় প্রায় সারা বছরই কষ্ট করে নদী পারাপার হতে হয় তাদের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছেলে মেয়েদের নিয়ে তাদের আতংকে থাকতে হয়। আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম বলেন, এখানে ২ উপজেলার মানুষের পারাপারের জন্য বর্ষা ও শুস্ক মৌসুমে নৌকা এবং বাঁশের সাঁকোর ওপর ভরসা রাখতে হয় প্রায় ১৫টি গ্রামের বসবাসরত জনসাধারণের। এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম এমপিসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করছি।
×