ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিনেট কোর্টে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল

প্রকাশিত: ০৭:৫৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

সিনেট কোর্টে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল

নতুন বছর ২০২০-এর জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে গত মঙ্গলবার থেকে আরম্ভ হয়ে গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের বহুল প্রতীক্ষিত ইমপিচমেন্ট ট্রায়ালের সমাপ্তি পর্বটি। শুধু আমেরিকাবাসী নয়, সমগ্র বিশ্বের নজর এখন মার্কিন সিনেটের দিকে, যেখানে নাট্যমঞ্চে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তগুলোতে ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তিধর দেশের শীর্ষ ব্যক্তির। ট্রায়ালে বিচারাধীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরুর দিনটিতে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য। বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে সমস্ত দিন ডুবেছিলেন তার কাজে এবং সিনেটের অভিশংসন বিষয়ে সাংবাদিকদের কোন প্রশ্ন গ্রহণ করতে রাজি হননি। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে তিনি তার নির্বাচনী প্রচারের স্টাইলে বক্তব্য রাখলেন, ‘আমেরিকা ইজ থ্রাইভিং, আমেরিকা ইজ ফ্লারিশিং এ্যান্ড ইয়েস আমেরিকা ইজ উইনিং লাইক নেভার বিফোর।’ বিকেলে এক সময় ওয়াশিংটনের আইনসভা থেকে যোজন যোজন দূরের এক ফোরামে সাংবাদিকদের কাছে এই বিচারিক পর্বকে তিনি তার পরিচিত ভাষায় অভিহিত করলেন একটি হোয়াক্স বা ধাপ্পাবাজি বলে। অন্যদিকে, দিনের শুরুতেই মার্কিন সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের সভাপতিত্বে জানুয়ারির ২২ তারিখ থেকে প্রতিদিন বসছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিনেট ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল। সে সময়গুলোতে ঘটনাটি সিনেটের চিরাচরিত আইনসভা না হয়ে পরিণত হয়েছে একটি বিচারিক কোর্ট হিসেবে। সেখানে দুই রাজনৈতিক পক্ষকে তিন দিন করে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে যুক্তিতর্ক পেশের। প্রথম সপ্তাহে ছিল ডেমোক্র্যাটদের পালা। যুক্তিতর্কের সমাপ্তি দিনে তাদের সঙ্গে শামিল হওয়ার জন্য রিপাবলিকান সিনেটরদের প্রতি আবেগময় আহ্বানের মধ্য দিয়ে গত শক্রবার রাতে ইমপিচমেন্টের পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করেছেন ডেমোক্র্যাটগণ। ঐতিহাসিক এই সিনেট ট্রায়ালে তাদের দাবি, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনÑ কোনটাই নিরাপদ নয়। সর্বোপরি আমেরিকার গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে অবশ্যই তাকে অবিলম্বে হঠানো প্রয়োজন। তাই ফ্রি ট্রায়ালের কারণে সিনেটে নতুন সাক্ষ্য-প্রমাণের লক্ষ্যে তাদের দাবির সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এদিকে প্রেসিডেন্টের লিগ্যাল টিম শনিবার থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আর্গুমেন্ট শুরু করেছে। রবিবার বিরতি দিয়ে সোম ও মঙ্গলবার এই টিমের সঙ্গে রিপাবলিকানদের যুক্তিতর্ক সমাপ্ত হবে। উল্লেখ্য, বিধি মোতাবেক ট্রায়াল কক্ষে কোন ক্যামেরা বা টিভির উপস্থিতি নেই। তাদের হাতে বা পকেটে নেই সেলফোনও। তেমনি পাশেও বসে নেই কোন সহকারী। সমগ্র আমেরিকাবাসীর মতো ‘ক্যাপিটল হিলের’ রাজনৈতিক দলগুলোও বর্তমান সময়ে রয়েছে বিটারলি ডিভাইডেড হিসেবে। তাদের হৃদয়ে এখন বিরাজ করছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অন্তহীন তিক্ততা। সেটি সম্বল করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করা সহজ কথা নয়। একশ’ জন সিনেটরের জন্য কোনরকম কথাবার্তা বলাও নিষেধ। সেখানে তারা কফি পর্যন্ত পান করতে পারছে। না। সিনেটরদের পারস্পরিক গলাবাজি একেবারে স্তব্ধ। শুধু যখন যার বক্তব্য দেয়ার সময় তিনিই কথা বলছেন। বাকি সিনেটরগণ রয়েছেন কেবলই নীরব জুরির ভূমিকায়। তবে কোন কোন সিনেট সদস্য বাইরে যাচ্ছেন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। তাদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট সদস্য বার্নি স্যান্ডার্স ও রিপাবলিকান পল রবসনকে ঘনঘন ট্রায়াল কক্ষের বাইরে যেতে দেখা গেছে। আরও কয়েকজন শরীরটাকে ঝালিয়ে নিতে বাইরে গিয়ে সারছেন সামান্য ব্যায়াম পর্ব। একজনকে নাকি দেখা গিয়েছে ভেতরে বসে বই পড়তে। সেটি নিষিদ্ধের পর্যায়ে পড়লেও সার্জেন্ট এট আর্মস সেটি উপেক্ষা করে যাচ্ছেন। ইতোপূর্বে ক্লিন্টন ইমপিচমেন্টেও নাকি এমন দৃশ্যই দেখা গিয়েছিল। পরদিন সম্মেলন থেকে স্বদেশে ফেরার প্রাক্কালে তাৎক্ষণিকভাবে ডাকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে যখন প্রশ্ন করা হলো, ফিরে গিয়ে তিনি এই ট্রায়ালে উপস্থিত থাকবেন কিনা? তখন তার সকৌতুক জবাব ছিল, ‘ইট ইজ নট টু বি গ্রেট? সামনের সারিতে বসে ডাইনে এবং বামে তাদের নীতিভ্রষ্ট মুখগুলোর দিকে তাকাতে আমার দারুণ ভাল লাগবে।’ সেইসঙ্গে আরও যোগ করে বললেন ‘আমি অত্যন্ত কাছে থেকে এ্যাডাম শিফের অবিরল মিথ্যাচার দেখতে চাই। সে তো শুধু মিথ্যুক নয়, একজন প্রতারকও বটে।’ বলাবাহুল্য, এ্যাডাম শিফ হচ্ছেন সিনেট ট্রায়াল কক্ষে রিপাবলিকান দলের লিড হাউস ম্যানেজার। তবে সত্যি সত্যি কি প্রেসিডেন্ট তার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ট্রায়ালে উপস্থিত হতে যাচ্ছেন? অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যারা চেনেন তারা এই বিষয়ে বলেছেন, নিজেকে সিনেটে উপস্থাপন করে একটা অপ্রস্তুত পরিবেশ তৈরি করতে তিনি এক রকম খেলাচ্ছলে নিজের বিচারে শামিল হলেও হতে পারেন। উল্লেখ্য, ফেরার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে তিনি ইমপিচমেন্টের বিরুদ্ধে টুইট করেছেন মোট ১৪০টি। একদিনে এটি হলো তার সর্বোচ্চ টুইট, যেগুলোর ফলোয়ার ছিল ৭০ মিলিয়ন অর্থাৎ সাত কোটি। ডেমোক্র্যাটরা তাদের জন্য নির্ধারিত তিন দিনে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও নির্বাচনী ব্যবস্থার ভিত্তিকে ধসিয়ে দিয়েছেন। ইমপিচমেন্ট সম্পর্কে তাদের অভিযোগে বলা হয়েছিল, তিনি তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন এবং তার পুত্র হান্টার বাইডেনের দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত চালানোর জন্য ইউক্রেনের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। সেইসঙ্গে আরও অভিযোগ করে বলা হয়েছে, এই কারণে ট্রাম্প পূর্বে অনুমোদিত প্রায় চার শ’ মিলিয়ন ডলার সাহায্য ধরে রেখেছিলেন। এছাড়া হোয়াইট হাউসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কংগ্রেসের দেয়া সমন তিনি প্রেসিডেনসিয়াল প্রিভিলেজে আটকে দিয়েছেন। এই কাজগুলোর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার অপব্যবহার যেমন করেছেন, তেমনি এর দ্বারা হয়েছে অবস্ট্রাকশন অব কংগ্রেস। রিপাবলিকান প্রতিনিধি পরিষদ নিম্নকক্ষ থেকে প্রেরিত ইমপিচমেন্টের দুটি আর্টিকেলের ওপর এই বিচারকার্য সীমাবদ্ধ রাখতে ইচ্ছুক। তারা বলছে, প্রেসিডেন্টের ওপর আনীত অভিযোগসমূহ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈ আর কিছু নয়। এছাড়া দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট সন্নিকটে। যার মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো কংগ্রেসের উভয় পরিষদের সদস্যদের সামনে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্টের ‘স্টেট অব ইউনিয়ন এড্রেস’। যেখানে সভাপতিত্ব করবেন নিম্নকক্ষের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি। সম্ভবত ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম মনবাঞ্ছা ছিল প্রেসিডেন্টকে বিচারাধীন আসামির কলঙ্ক গায়ে মাখিয়ে ইউনিয়ন এড্রেসে হাজির করানো। নইলে সিনেট ট্রায়ালে খালাস পেলে তিনি তো মুক্ত মানুষ হয়ে ভাষণ দিতে সিনেটে হাজির হবেন বিজয়ীর বেশে। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, আগামী নবেম্বর মাসের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আইওয়া ডেমোক্র্যাটিক ককাস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সামনের ফেব্রুয়ারি মাসের তিন তারিখে । পাঠকগণ সবাই কমবেশি জানেন, ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবস্ট্রাক্শন অব কংগ্রেস এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতে নিম্নকক্ষে ইমপিচমেন্ট পাস করে গত মাসের ১৮ ডিসেম্বর। প্রথামাফিক পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সিনেটে না পাঠিয়ে স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি সেটি নিজের জিম্মাদারিতে প্রায় চার সপ্তাহ আটকে রেখেছিলেন । এরই প্রেক্ষিতে রিপাবলিকান সিনেটর জন হলওয়ে সিনেটে একটি রেজ্যুলেশন আনেন, যাতে বলা হয় প্রতিনিধি পরিষদের ইমপিচমেন্টে পাসকৃত আর্টিকেল দুটি যদি ২৫ দিনের মধ্যে সিনেটে না পাঠানো হয় তবে সেগুলো সিনেট প্রসিকিউশনের অযোগ্য হয়ে ডিসমিস হয়ে যাবে। মিচ ম্যাককোল গত ২৮ ডিসেম্বর রেজ্যুলেশনটিতে সই করেছিলেন। এরপর অবশ্য ইমপিচমেন্ট আর্টিকেল রিলিজ না করে স্পীকার ন্যান্সি পেলোসির কোন গত্যন্তর ছিল না। অবশেষে এটা নিয়ে ১৫ জানুয়ারিতে একটা চমৎকার দৃশ্য অবলোকন করার সৌভাগ্য লাভ করলেন দুনিয়ার টিভি দর্শক। ক্যাপিটল হিলের সিনেট কক্ষ অভিমুখে মার্চ করে যাচ্ছেন ওরা সাতজন। ঐতিহাসিক সেই অভূতপূর্ব দৃশ্য ধারণ করতে তার সামনে-পেছনে অগণিত ক্যামেরার ফ্ল্যাশলাইট -বাঘা বাঘা নেটওয়ার্কের ক্রুরা তাদের অনুসরণ করে যেন পাড়ি দিচ্ছেন এক দীর্ঘ পথ। এই সাতজন ছিলেন প্রতিনিধি পরিষদ বা নিম্নকক্ষের মনোনীত ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসম্যান ও ওম্যান। অপূর্ব এক নাটকীয় কায়দায় তারা যাচ্ছিলেন সিনেট অভিমুখে। টিভিতে সেটি লাইভ প্রচার করা হচ্ছিল দীর্ঘ সময় ধরে। টিভিতে দেখা গেল অবশেষে হাউস ম্যানেজাররা সিনেট সেক্রেটারির হাতে হস্তান্তর করছেন মুখবন্ধ খামগুলো। কিন্তু মিডিয়া তো সিনেটের দোরগোড়া পর্যন্ত যেতে পারে না। তাদের আটকে দেয়া হয় গেটের নিকটবর্তী হওয়ার পূর্বেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের সেই দূরত্বটি ছিল অল্প দূর, নাকি অনেক দূর! মজার কথা, এই পথটি ছিল মাত্র দেড় মিনিটের। এ কথা বলা আবশ্যক, ট্রায়ালে ডেমোক্র্যাট দল প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগগুলো প্রমাণের জন্য কিছু সাক্ষীসাবুদ সিনেটে আনতে জনমতকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন সিনেটে সাক্ষী উপস্থাপনের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে। ডেমোক্র্যাট সদস্যরা যেসব ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে রাখতে ইচ্ছুক তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, হোয়াইট হাউসের অস্থায়ী চিফ অব স্টাফ মিচ মিলভ্যালি। কিন্তু এতে করেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দমে যাবার পাত্র নন। সিনেটে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য হোয়াইট হাউসের কাউন্সিল ছাড়াও তিনি দুজন অভিজ্ঞ ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বকে তার পক্ষে ওকালতি করার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন সেই বিখ্যাত কেনেথ স্টার, যিনি হোয়াইট হাউস ইন্টার্ন মনিকা লুইনস্কির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে ইমপিচমেন্ট ট্রায়ালে তদন্তের জন্য স্পেশাল কাউন্সিলর ও প্রসিকিউটর ছিলেন। অপরজন হলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ সাবেক অধ্যাপক এলান দারিয়ুস। তিনি একজন লিবারেল ডোমোক্র্যাট ও ট্রাম্পের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন গত নির্বাচনে। ট্রাম্পের কৌঁসুলি জে সেকুলা বলেছেন, ট্রাম্প কোন অন্যায় করেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ডেমোক্র্যাট দল তার বিরুদ্ধে এনেছে এই ইমপিচমেন্ট। যার মূল কারণ আগামী নবেম্বরের নির্বাচনী ব্যালটে যেন ট্রাম্পের নাম না থাকে। যুক্তিতর্ক শেষে ট্রায়ালে সাক্ষীসাবুদ ডাকা এবং এই বিষয়টির ভিত্তি কি হবে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। যদি সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ ৫১ জন সিনেটর এতে হ্যাঁ সূচক ভোট দেন তবেই ডাকা হবে সাক্ষীদের। প্রসঙ্গক্রমে মনে করিয়ে দেয়া প্রয়োজন, বর্তমান সিনেটে রয়েছেন ৫৩ জন রিপাবলিকান ও ৪৭ জন ডেমোক্র্যাট। রিপাবলিকান সিনেটরগণ ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে একই কাতারভুক্ত হয়ে ট্রাম্পের বিপক্ষে যাবেন বর্তমান সময়ে সেটা বিশ্বাস করা শক্ত। কিন্তু তারপরেও রাজনীতির ব্যাপারটাই তো আনপ্রেডিকটেবল! লেখক : আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক [email protected]
×