ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সামাজিক সচেতনতামূলক নাটক ‘গুজবের তাবিজ’

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

 সামাজিক সচেতনতামূলক  নাটক ‘গুজবের তাবিজ’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে সমাজ সচেতনতামূলক বিশেষ নাটক ‘গুজবের তাবিজ’। গুজবসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমতলী মডেল ফাউন্ডেশন নিবেদিত নাটকের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও প্রযোজনা- মীর লিয়াকত আলী। পরিচালনায় কাইউম খান। নাটকটি আগামী সপ্তাহে আমতলী মডেল স্কুলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ হবে। ‘গুজবের তাবিজ’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিরো আলম, নুসরত, সাজু আহমেদ, বর্ষা, সুমন মজুমদার, সজল মাহমুদ, রুবেল শিকদার, সোহাগ, জাকির, সাইফুল, শেখ সুমন, তুষার, পাপ্পু, আল-আমিন, সুজন, জাহাঙ্গীর, রাহুল, শাকিব, চিকন আলী, এমদাদুল হক, আমিন রুহুল, জহুরুল হক প্রধান, মীর আলীম, সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ চরিত্রে রূপগঞ্জের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শহীদুল আলম। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা কাইউম খান। মেকাপ বিপ্লব। শূটিং স্পট পূর্বাচলের রোজামাস্ট কটেজ। বিশেষ কৃতজ্ঞতায় ফরহাদুল কবীর, জাকির হোসেন, টিএ পান্না, বরফা লাইফ এইড হাসপাতাল। গুজবের মতো একটি সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির এ নাটকের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজাকারদের কুকীর্তি তুলে ধরা হয়েছে। নাটকের গল্পে দেখা যাবে আলতাফের সুখের সংসার। সর্বনাশা গুজবে মুহূর্তেই সেই সংসার তছনছ হয়। গুজবের শিকার উপার্জনক্ষম একমাত্র সন্তান হারিয়ে আলতাফ দিশেহারা। সংসারের অভাব-অনটন নিত্যসঙ্গী। এমনকি পেটের ভাত পর্যন্ত জোটে না। সমাজে একশ্রেণীর লোক আছে যারা দেশের ভাল চায় না। সবসময় দেশকে অস্থির দেখতে চায়। বারবার সুযোগ খোঁজে কিভাবে গুজব ছড়ানো যায়। এসব নরপশুর কাছে গুজব যেন বিশৃঙ্খলা তৈরির তাবিজ। আর সেই তাবিজে দেশ ধ্বংসের মহাপরিকল্পনা করে তারা। সেই পরিকল্পনায় বিভিন্ন সময়ে গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়। যেমন গুজব ছড়ানো হলো কৃমিনাশক ট্যাবলেটের নামে বিষাক্ত ওষুধ দিয়ে শিশুদের মারা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। এর কিছুদিন পরই গুজব ছড়িয়ে দেয়া হলো দন্ড প্রাপ্ত এক রাজাকারকে নাকি চাঁদে দেখা গেছে! মুহূর্তে উত্তেজিত করা হলো লোকজনকে, ভাংচুর করা হলো থানা-কাচারি, অফিস-আদালত, বাড়িঘর। এমনকি অগ্নিসংযোগ করা হলো। গুজবের বলি হলো পুলিশসহ ১৪ জন। আহত দুই শতাধিক। শত শত কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হলো। এভাবে গুজব রটিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে মাথা ও বাড্ডায় ছেলে ধরা সন্দেহে মাকে পিটিয়ে মারার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটানো হলো। এসব ঘটনা মোকাবেলা করতে হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। অনেক সময় তা সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কঠোর হতে হয়। এসব গুজব থেকে রেহাই পেতে দরকার সামাজিক সচেতনতা। এ জন্য স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরী। এসব বিষয়ই উঠে এসেছে নাটকের গল্পে।
×