ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিআইপির নাগরিক ইশতেহার

সিটি কর্পোরেশনের সব সেবা ওয়ার্ড কাউন্সিল ভিত্তিক দাবি

প্রকাশিত: ১২:০২, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

সিটি কর্পোরেশনের সব সেবা ওয়ার্ড কাউন্সিল ভিত্তিক দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নগর পরিকল্পনাবিদদের পক্ষ থেকে ‘নাগরিক ইশতেহার’ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে ঢাকা শহরের সব অঞ্চলকে সমানভাবে উন্নয়নের দাবি তুলে ধরেছেন ওই ইশতেহারে। বিশেষ কিছু অঞ্চলের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া থেকে প্রার্থীদের বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যাবলী ও দায়িত্ব মূলত স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ দ্বারা নির্ধারিত। ইশতেহারে এই আইন পুরোপুরি বাস্তবায়নের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিআইপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমাও দেয়া হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান জনকণ্ঠ এ তথ্য জানিয়েছেন। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেন, সিটি বাজেট তৈরি করার সময় স্থানীয়ভাবে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়ার দাবি করা হয়েছে। খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে অঞ্চলভেদে যদি বাজেট বরাদ্দ করা হয় তবে দুর্বল বা অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলো তাদের জন্য বেশি বাজেট বরাদ্দের জন্য দাবি করতে পারবে। এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। স্থানীয় মানুষজন জানবে যে, তারা যে কোন কাজের জন্য এলাকার কাউন্সিলরের অফিসেই যেতে হবে এবং ওখানে গেলে কি ধরনের সেবা সে পাবে। এলাকার মানুষদের সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং অফিসের সরাসরি যোগাযোগ হবে। আমরা প্রায়ই এলাকায় মশা নিধন, জলাবদ্ধতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততার কথা বলছি। যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের যোগাযোগ তৈরি হবে, তখনই জনসম্পৃক্ততা তৈরি হবে। এভাবে সব কর্মকা-ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেন। এ কারণে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের যে কোন উন্নয়ন কর্মকা-ে কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার বিষয়টি ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। বিআইপি’র সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সব সেবাগুলো ওয়ার্ড কাউন্সিলভিত্তিক হতে হবে। সকল কেন্দ্রবিন্দু ওয়ার্ড কাউন্সিল হলে, আমরা মানসম্মত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পেতে পারি। এতে জনগণের সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বাড়বে। উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক পরিকল্পনাবিদ ড. গোলাম রহমান বলেন, নগর পিতাদের মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তবেই অনেক রকম সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। সংগঠনের সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, নগরে নাগরিক পরিসেবা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা শহরে বসবাসযোগ্যতা নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য নগর ব্যবস্থাপনা কাজে পরিকল্পনাবিদদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সরকারের কাছে কিছু দাবি বাস্তবায়নের জন্য জাননো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি হবেন মেয়র ও কাউন্সিলররা। নির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলররা স্থানীয় জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
×