ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢালারচর এক্সপ্রেস ও জামালপুর এক্সপ্রেস আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

ঢালারচর এক্সপ্রেস ও জামালপুর এক্সপ্রেস আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রেলসেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং দেশের অর্থনীতি ত্বরান্বিত করতে আজ উদ্বোধন করা হচ্ছে ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি পাবনার মাঝগ্রাম-ঢালারচর চলাচল করবে। এছাড়া ঢাকা-তারাকান্দি-জামালপুর রুটে ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ নামে নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকাল দশটায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ ও ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করবেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার পাঠানো। জানা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে (১৯৭২-৭৩ সালে) ঈশ^রদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে মাঝগ্রাম থেকে পাবনা পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করা হয় এবং আংশিক জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয় এবং ১৯৭৯ সালে প্রকল্পটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রকল্পটির কাজ পুনরায় শুরু করা হয়। মাঝগ্রাম-ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার রেলপথে সাতটি স্টেশন, মেজর ব্রিজ নির্মাণ নয়টি, মাইনর ব্রিজ নির্মাণ ৮০টি, লেভেল ক্রসিং গেট ৬০টি, এ্যাপ্রোচ রোড ১১০০ দশমিক ৮৬ বর্গমিটার, স্টাফ ব্যারাক ৫৯৮ দশমিক ৩৮১ বর্গমিটার নির্মাণ করা হয়েছে। ১৭৩৭ দশমিক ১৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে মাঝগ্রাম থেকে শুরু করে ঢালার চর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথের নিকটস্থ রেলে ভ্রমণেচ্ছুক বিভিন্ন বয়সী মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢালারচরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য ঢালারচর স্টেশনে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জামালপুর-এক্সপ্রেস উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রবিবার ঢাকা-তারাকান্দি-জামালপুর রুটে ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ নামে নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করবেন। এ ট্রেনটি চালু হওয়ায় জামালপুরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে। আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ১৩টি বগির সংযোগ থাকবে। যার মধ্যে শীতাতপ বগি দুটি এবং শোভন চেয়ার বগি থাকবে আটটি। এছাড়াও এই ট্রেনে দুটি খাবার বগি ও একটি পাওয়ারকার বগি সংযুক্ত থাকবে। দুটি শীতাতপ বগিতে ১১০ আসন রয়েছে, প্রতিটি আসনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮৬ টাকা। অন্যদিকে আটটি চেয়ার বগিতে ৫১০ আসন থাকবে, প্রতিটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা করে। জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ শাহাবুদ্দিন জনকণ্ঠকে জানান, সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার ব্যতীত ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছবে। অপরদিকে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। যাত্রা পথে ট্রেনটি সরিষাবাড়ী, তারাকান্দি, এ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার, হেমনগর, ভুয়াপুর, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। নতুন ট্রেন উপহার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে উদ্বোধনী ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান।
×