ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ঘোষণা আতিকের, চারদিনের মধ্যে তাপসের

উন্নয়নের অঙ্গীকার থাকছে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীদের ইশতেহারে

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

উন্নয়নের অঙ্গীকার থাকছে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীদের ইশতেহারে

ওয়াজেদ হীরা ॥ রাজধানীজুড়ে এখন ভোটের আমেজ। প্রার্থীদের ব্যস্ত সময় কাটছে প্রচারে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের দুই মেয়র প্রার্থী উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আগামীর প্রজন্ম যেন সুস্থতার সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য সিটি কর্পোরেশনে পর্যাপ্ত মাঠ ও পার্ক থাকবে। কিভাবে এই ঢাকাকে আরও উন্নত ও সচল করা হবে সে পরিকল্পনার কথা বলে নিজেদের তুলে ধরছেন ভোটারদের মধ্যে। উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট কর্মকান্ড নিয়ে আজ রবিবার উত্তর সিটির আওয়ামী লীগের মেয়র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন। এটি নির্বাচনী ইশতেহারই শুধু নয়; একটি শহরের উন্নয়নের অঙ্গীকারও বটে। উত্তরের প্রার্থী আজ ঘোষণা করলেও আগামী চারদিনের মধ্যেই ঢাকা দক্ষিণের নির্বাচনী ইশতেহারও ঘোষণা করা হবে। জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আজ রবিবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন। রাজধানীর একটি হোটেলে সকাল ১০.৩০ টায় এই নিবার্চনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন। ইশতেহারে চমক থাকবে বলে জানা গেছে। সচল, সুস্থ ও মানবিক ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার থাকবে নির্বাচনী ইশতেহারে। ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গেছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে, সেই সঙ্গে মেয়র হলে কি করা হবে তা প্রতিপক্ষদেরও জানা উচিত বলে প্রার্থীসহ অন্যদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ওই সংগঠনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আতিকুল ইসলামের প্রচার কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমন্ত্রণপত্র বিএনপি মহাসচিব ও তাবিথের অফিসে পাঠানো হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন আতিকুল। শুধু ভোট চেয়েই তার জনসংযোগ শেষ হয়নি। ভোট চাইবার পাশাপাশি রাজধানীবাসীর কাছ থেকে তাদের সমস্যাগুলো শুনছেন তিনি। সাবেক এই মেয়র বলেন, ঢাকা শহর একটি অপরিকল্পিত শহর। এই অপরিকল্পিত শহরকে পরিকল্পিত করতে পারব ইনশা আল্লাহ্। এজন্য নাগরিকদের আমাকে সহযোগিতা করতে হবে। এদিকে, শনিবার নির্বাচনী প্রচারে ১৬তম দিনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন এবং ভোটারদের ভোট প্রত্যাশা করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থীরাও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে। একটি ওয়ার্ডের উন্নয়নে কিভাবে কাউন্সিল প্রার্থীরা ভূমিকা রাখবেন সেটিও বলছেন ভোটারদের কাছে। ১৬তম দিনের প্রচারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবার সাইকেল চালিয়ে প্রচারে অংশ নেন। শনিবার রাজধানীর গুলশানের নর্দা বাজার এলাকায় সাইকেল চালিয়ে তাকে প্রচার করতে দেখা যায়। বারিধারা, কালাচাঁদপুর ও নর্দা নিয়ে গঠিত ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন মেয়র আতিকুল ইলসাম। এ সময় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল সাইকেল প্রচারে অংশ নেন। এদিন গুলশান স্বাস্থ্য ক্লাব পার্ক থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। পার্কে গণসংযোগকালে আতিক বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন হবে আধুনিক, গতিময়, সচল, সুস্থ ও মানবিক ঢাকা। নাগরিকদের নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত করা হবে তেমনি খেলাধুলার জন্য থাকবে পর্যাপ্ত মাঠ ও পার্ক। আমি চাই আমাদের আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠুক সুস্থতায়। নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে আতিক বলেন, রবিবার আমার নির্বাচনী ইশতেহার দেব। সেখানে চমক থাকবে। আর সচল, সুস্থ ও মানবিক ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার থাকবে। সিটি নির্বাচনের বাকি ছয় দিনে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন আতিকুল ইসলাম। আতিকুল ইসলাম বলেন, আর বেশিদিন বাকি নেই। আজ বাদে ছয় দিন আছে। এ ছয় দিনে সব ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান, ভোটারদের গিয়ে বলতে হবে একটি আধুনিক ও যানজটমুক্ত শহর গড়তে নৌকায় ভোট দিতে। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে জেনে কালাচাঁদপুর একটি স্কুলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেননি আতিকুল ইসলাম। এর পর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে প্রগতি সরণিতে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি চাই না কোন আচরণবিধি লঙ্ঘন হোক। এ জন্য স্কুল মাঠের সমাবেশ বাতিল করে দিয়েছি। এ কাজে কাউকে উৎসাহ দেব না। আমি চাই না নির্বাচনী প্রচারে কোন শিশু বা ছাত্রছাত্রী থাকুক। আতিক তার নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে কোনভাবেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা চলবে না। যানজট যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে নেতাকর্মীদের খেয়াল রাখতে হবে। মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন কোন কাজ নেতাকর্মীরা করবেন না। আমি নির্বাচিত হলে জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। চা বানানোর পর এবার গান গাইলেন আতিক ভোটারদের চা বানিয়ে খাওয়ানোর পর এবার নিজের অফিসে টেবিলে তাল ঠুকে গান গাইলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম। শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে এ্যাকাউন্টে ‘সারাদিন ক্যাম্পেনের অবসরে একটু আনন্দ’ এই ক্যাপশন দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আতিকুল ইসলাম। যা সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আতিকুল ইসলামের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মেয়রপ্রার্থী পাঞ্জাবি ও কালো রঙের শাল গায়ে হাত নাচিয়ে গান গাইছেন, ‘ড্যাগেরও ভিতরে ডাইলে চাইলে মিশাইলি ল সই...’। এ সময় পাশে তার বন্ধু খ্যাতনামা মিউজিসিয়ান পারকাশনিস্ট কাজী হাবলুকে সুরে সুর মেলাতে দেখা যায়। এর আগে ১৩ জানুয়ারি আফতাবনগরে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে নিজ হাতে চা বানিয়ে কয়েকজনকে খাওয়ান আতিকুল ইসলাম। নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে স্থানীয় ইয়াসিনের চা-শিঙ্গাড়ার দোকানে বসে বড় সসপ্যান থেকে দুধ আর কেটলি থেকে লিকার ঢেলে চা বানান তিনি। এ সময় চা বিক্রেতার মতো ‘এই চা হবে, চা...চা..., চা খাবেন চা...’ বলে আশপাশের লোকজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের চা পানের আহ্বান জানান আতিকুল ইসলাম। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের প্রচারও তুঙ্গে। মাঠ পর্যায়ে সৎ ও নির্ভীক জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও জনসমর্থন আদায়ে মাঠে রয়েছেন। নিজেরাও ওয়ার্ডকে কিভাবে সাজাবেন তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণের ১৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ‘ঘুড়ি’ প্রতিকে নির্বাচন করছেন। সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রস্তাবে ভোটারদের দৃষ্টি কেড়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন্ ক্রীড়া সংস্থা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বও পালন করছেন। উচ্চ শিক্ষিত, ভদ্র এমন ব্যক্তিরা নির্বাচনে জয়লাভ করলে এলাকার উন্নয়ন হয় বলে একাধিক ভোটার মত প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে প্রচারপত্রে উল্লেখিত নির্বাচনী ইশতেহার এলাকার ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, আমি ঘুড়ি প্রতিক নিয়ে লড়ছি। আমি নির্বাচিত হলে আমার এলাকার উন্নয়নে কিভাবে ভূমিকা রাখব তা উল্লেখ করেছি এখন ভোটাররা যা সিদ্ধান্ত নেন। আমি বলবÑ যোগ্য দেখে, দক্ষ দেখে ভোটারদের ভোট দিতে আহ্বান করব। উন্নয়নের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানাব। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাঁর প্রচারপত্রের ইশতেহারে বলেছেন, নির্বাচিত হলে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, অসুস্থ, বয়স্ক ব্যক্তিদের বাসায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে বিভিন্নস্থানে ওয়াইফাই ফ্রি করা হবে। শিক্ষা ও দারিদ্র দূর করতে ব্যবস্থা থাকবে। পরিবেশ ও নিরাপত্তায় উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা গেট, সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার, পরিবেশবান্ধব ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক ওয়ার্ড গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি। এছড়া অন্যান্য ওয়ার্ডের প্রার্থীরাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা যেমন ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন তেমনি বিদ্রোহীরাও উন্নয়নের নানা আশ^াস দিচ্ছেন ভোটারদের। ঢাকা উত্তর ডিএনসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর মোঃ মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে এ ওয়ার্ডের মাদক নির্মূল ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করব। একটি পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড উপহার দেব। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান (ঘুড়ি) শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান। তিনি বলেন, আমার গত নির্বাচনের যে ইশতেহার ছিল, তার সবই পূরণ করেছি। শুধু ওয়ার্ডে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ করা হয়নি। ওয়ার্ডের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে। উন্নতমানের সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ করা হয়েছে। ফার্মগেট-ইন্দিরা রোডের ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ করে জন চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা শতভাগ নিশ্চিত ও প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য পুরো ওয়ার্ডের ওলি-গলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। বাবুবাজার ব্রিজের নিচ থেকে তাপসের প্রচার শনিবার নির্বচনী প্রচারে ১৬তম দিনে দুপুরে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বাবুবাজার ব্রিজের নিচ থেকে নির্বাচনী প্রচর শুরু করেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রচারকালীন পথসভায় তাপস বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অভিযোগ নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন। ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ঢাকার উন্নয়নে আমরা যে রূপরেখা প্রদান করেছি, ঢাকাবাসী তা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছেন। আমরা যেখানেই নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগ করতে যাচ্ছি সেখানেই জনগণের বিপুল সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে দক্ষিণের আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী বলেন, আমরা আশা করছি, উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে আগামী ২৮ বা ২৯ জানুয়ারি ঢাকাবাসীর উন্নয়নের উদ্দেশে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করতে পারব। আমি মনে করি, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ঢাকাবাসীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। ঢাকাবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা একটি নবযাত্রার সূচনা করতে চাই। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি ঢাকাবাসী উন্নত ঢাকার জন্য নৌকা মার্কায় আমাকে রায় দিয়ে তাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাপস বলেন, আমরা নেতাকর্মীসহ ঢাকাবাসীর দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি, অথচ আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শুধু অভিযোগ নিয়ে ব্যস্ত। ঢাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য তাদের কোন রূপরেখা নেই, ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রার উন্নয়নে কোন কার্যক্রম নেই। তারা জাতীয় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আমরা আমাদের গণসংযোগ, প্রচার এবং ঢাকাবাসীর উন্নয়নে ব্যস্ত রয়েছি। পুরান ঢাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ৩০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় পুরান ঢাকাকে যেমন উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলব তেমনি আমরা ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে, সেই ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর দরবারে তুলে ধরব। এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীরা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত হলে তার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। পরে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে পুরান এই এলাকার বিভিন্ন সড়কে গণসংযোগ শুরু করেন তাপস। শনিবার পুরান ঢাকার সদরঘাট, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, বংশাল এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার চালান ব্যারিস্টার তাপস।
×