ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুজিববর্ষ ঘিরে বিদেশীদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

 মুজিববর্ষ ঘিরে  বিদেশীদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। মুজিববর্ষ ঘিরে দেশে-বিদেশে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে সরকার। তবে মুজিববর্ষ ঘিরে বিদেশীদের মধ্যেও ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়ছে। ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশন মুজিববর্ষের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। খবর বাংলানিউজের। মুজিববর্ষকে এরই মধ্যে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। চলতি বছর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এক বার্তায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার মুজিববর্ষকে স্বাগত জানান। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে যে বন্ধুত্বের সূচনা করেছিলেন, সেই বন্ধুত্ব আরও এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। এদিকে, মুজিববর্ষ ঘিরে চীনের মধ্যেও আগ্রহ দেখা গেছে। ঢাকার চীন দূতাবাস নিজ দেশের নববর্ষ পালন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের শিরোনামে মুজিববর্ষকে স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বার্ষিকী, চীনা নববর্ষ ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে দেশটি। মুজিববর্ষ ঘিরে ঢাকার চীন দূতাবাস নানা অনুষ্ঠানের উদ্যোগও নিয়েছে। মুজিববর্ষ ঘিরে নানা উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার চীন দূতাবাসকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, ‘সমগ্র জাতি এ বছর মুজিববর্ষ পালন করবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকার চীন দূতাবাস নানা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে, জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ২০২০ সাল বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বার্ষিকী দু’দেশ উদ্যাপনও করবে।’ মুজিববর্ষ ঘিরে আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান বলেন, মুজিববর্ষ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাইলফলক হতে পারে। কেননা এ বছর আমরা দু’দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫ বছর উদ্যাপন করতে চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী দু’দেশের বন্ধুত্বের মধ্যে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে। এদিকে মুজিববর্ষ ঘিরে প্রতিবেশী দেশ ভারতেরও আগ্রহ রয়েছে। সে কারণে গত ১০ জানুয়ারি মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। তিনি সেই অনুষ্ঠানে প্রত্যাশা করেছেন, মুজিববর্ষে সমৃদ্ধ হবে এ দেশের তরুণ প্রজন্ম। তারা এ দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনকের সম্পর্কে জানতে পারবে বলেও প্রত্যাশা করেছেন। এছাড়া মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির শীর্ষ কয়েকজন রাজনীতিবিদদের ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানোও হয়েছে। মুজিববর্ষ সামনে রেখে এরই মধ্যে দেশে-বিদেশে সরকার থেকে ব্যাপক কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সব দূতাবাসে মুজিববর্ষ পালিত হবে। এসব কর্মসূচীতে সেসব দেশের বিদেশী অতিথিদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। তবে বাংলাদেশের বিদেশী দূতাবাসগুলোও মুজিববর্ষ ঘিরে নানা আয়োজনে যুক্ত থাকবে। একইসঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন বিদেশী দূতাবাসগুলো নিজ উদ্যোগেও নানা কর্মসূচী পালনেরও আভাস দিয়েছে।
×