ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদায় বেলায় শীতের দাপট

প্রকাশিত: ১০:২৮, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

 বিদায় বেলায় শীতের দাপট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথায় বলে মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে। প্রবাদবাক্য এবার যেন সত্যে পরিণত হয়েছে। সারাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন এখন বিপর্যস্ত। শীতের পাশাপশি ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রোদের উত্তাপ শরীরে লাগছে না। বিদায় বেলায় শীতের দাপটে খেটে যাওয়া মানুষের অবস্থা কাহিল। রাজধানীতে সন্ধ্যা থেকে সকাল অবধি শীতের অনুভূতি রয়েছে বেশ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে রংপুর ময়মনসিংহ বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজও তা অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে তারা। এ অবস্থায় সারাদেশের রাতেও তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা একই থাকবে জানিয়েছে। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজাহাট এলাকায় ৬.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়া এদিন রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এবার শীত মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে শীত জেঁকে বসে। তবে মাঝে দু’একদিন বাদ দিলে একটানা একমাসের অধিক সময় শীতের কবলে রয়েছে দেশ। শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে উত্তরের জনপদের অসহায় মানুষেরা। যারা শীত নিবারণে ন্যূনতম গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করতে অক্ষম। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থানের কারণে শীতের কবল থেকে তাদের রেহাই মিলছে না। তাপমাত্রা একদিন বাড়ছে তো আবার কমে যাচ্ছে। হিমেল বাতাস রয়েছে প্রতিদিনের সঙ্গী হিসেবে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে গত বছর ১৮ ডিসেম্বর সারাদেশের ওপর দিয়ে হঠাৎ শুরু হয় হিমেল বাতাস। ওইদিন থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে, একযোগে শীত জেঁকে বসে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত শীতের বিরাম নেই বললেই চলে। এরই মাঝে তিন দফা বৃষ্টি হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ তিন দফায় চলছে। তবে বর্তমানে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহের পর আর শৈত্যপ্রবাহের আভাস নেই। তবে মাসের শেষ নাগাদ বৃষ্টিপাতের সম্ভনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত হলে আবার তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীত পড়বে ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহজুড়ে। তবে শীতে তীব্রতা থাকবে কম। এছাড়া এ বছর শীতের অন্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ঘনকুয়াশা আধিক্য দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে ঘনকুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে না। ফলে পর্যন্ত উত্তাপ না পেলে শীতের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রথম থেকেই এবার ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশায় বিমান নৌ ও সড়ক যোগায্গোও ব্যাহত হয়েছে। এমন ঘনকুয়াশার কারণে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যানবাহগুলোকে সতর্ক হয়ে চলাচল করার নির্দেশনা জারি করা হয়। আবহাওয়া অফিস জানায় মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশার আধিক্য থাকছে। যার কারণে দৃষ্টি সীমা একেবারে নিচে নেমে আসছে। শীত শেষ হয়ে আসলেও ঘনকুয়াশার হাত থেকে রেহাই মিলছে না। মধ্যরাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও ঘনকুয়াশার আভাস দেয়া হয়েছে।
×