ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ থেমে আছে

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

  রংপুরে হাইটেক পার্ক  নির্মাণ প্রকল্পের কাজ  থেমে আছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ২৩ জানুয়ারি ॥ রংপুরে হাইটেক পার্ক নির্মাণে অগ্রগতি নেই। জমি অধিগ্রহণ ছাড়া আর কোন কাজই হয়নি। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় এ প্রকল্পের কাজ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নগরীর খলিশাকুড়িতে আট একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয় রংপুর জেলা প্রশাসন। দেড় শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ এ বছরের জুনে শেষ হবে। অথচ গেল আড়াই বছরে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া আর কোন কাজই হয়নি। জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতাধীন বাকি জেলাগুলোতে নির্মাণ কাজ শেষের পথে। আবার কোথাও কোথাও নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বহুল প্রত্যাশিত এ পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ রংপুরবাসী। হাইটেক পার্ক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রংপুরে ৫ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের খলিশাকুড়ি এলাকায় হাইটেক পার্কের জন্য ৮ দশমিক ৫৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পিলার (খুঁটি) আর কাটা তার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে অধিগ্রহণকৃত জমি। রাস্তার ওপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে প্রকল্পের তথ্য সংবলিত একটি সাইনবোর্ডও। দীর্ঘদিন ধরে কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় প্রকল্পের জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। কৃষকরা জানান, আড়াই বছর ধরে পার্কের জমি পড়ে আছে। কোন কাজ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আমরা জমিতে চাষাবাদ করছি। প্রকল্পের এই জমি অধিগ্রহণ করার আগে অনেক গরিব কৃষক এখানে চাষাবাদ করত। এদিকে, প্রযুক্তিনির্ভর এই হাইটেক পার্ক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে সুযোগের দুয়ার খুলে দেবে বলে জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. আবু কালাম মোঃ ফরিদ উল ইসলাম। তিনি বলেন, হাইটেক পার্ক বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের যুবকরা কাজের সুযোগ পাবে। আইটি বিভাগ আরও প্রসারিত ও জনবান্ধব হবে। ফলে বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের আরও বিকাশ ঘটাবে। জাতীয় রাজস্ব আয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে এ পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গেল বছরের আগস্টে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন, হাইটেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিচালক হোসনে আরা বেগম। ওই সময় নির্মাণকাজ বিলম্ব হওয়ার কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘প্রকল্পটি ভারত সরকারের সহায়তায় হচ্ছে। আমাদের সকল কাগজপত্র বারবার পাঠাতে হয় এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে। আবার সেখান থেকে চলে যায় ইন্ডিয়ান হাইকমিশনে। এসব প্রসেসের জন্য প্রকল্পের কাজে ধীরগতি এসেছে।
×