ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বলেশ্বরের চরে দশ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

 বলেশ্বরের চরে দশ মণ ওজনের  শাপলাপাতা মাছ

সংবাদদাতা, পাথরঘাটা, বরগুনা, ২৪জানুয়ারি ॥ পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার বলেশ্বর নদের চরে দশ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ আটকা পড়ে। শক্রবার সকাল ৭টার সময় গ্রামবাসী মাছটি দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে পাথরঘাটা বিএফডিসি পাইকারি মাছ বাজারে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করেন। ১৯ পাইকার এই নিলামে অংশগ্রহণ করে ফিশ স্টোর মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মোঃ রাজু ও আবু হানিফ ৬৩ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। বিকেল তিনটার সময় খুচরা বাজারে প্রতিকেজি সাড়ে ৩শ’ টাকা দরে শাপলাপাতা মাছটিকে কেটে বিক্রি করা হয়। এতে মাছটির মোট মূল্য পড়েছে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। পদ্মা গ্রামের েেমাঃ আবু সুফিয়ান জানান, প্রতিদিন রাতে এলাকার জেলেরা বলেশ্বর চরে চরগড়া দিয়ে মাছ শিকার করেন। প্রতিদিনের মতো গত রাতে গড়া দিলে গড়াজালে মাছটি চরে আটকা পড়ে। সকালে জেলেরা গড়াজালে মাছ ধরতে গেলে শাপলাপাতা মাছটি দেখতে পায়। এসময় এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি কিনারে (লোকালয়ে)এনে ট্রাকে তুলে বাজারে নিয়ে আসে। তিনি বলেন, মাছটি চারদিকে গোলাকার ১১ ফুট ২ ইঞ্চি। লেজটি লম্বা ১৮ ফুট। ১৬ জেলে বাঁশ বেঁধে শাপলাপাতা মাছটি কিনারে তুলেছে। পাইকারি ক্রেতা রাজু মিয়া জানান, মাছটি হিন্দুদের (সনাতনীদের) কাছে খুব প্রিয়। এ জন্য অনেকের অনুরোধে পাথরঘাটা বাজারে মাইকিং করে কেটে স্বপ্লমূল্যে সবাইকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া এই ধরনের মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। গত ১০ বছরেও এতবড় মাছ পাথরঘাটা বাজারে ওঠেনি। পাথরঘাটা মৎস্য অধিদফতরের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, তারা ধারণা করছে মাছটি বাচ্চা দিতে সাগর থেকে নদীর কিনারে এসেছিল। চরের ওপর বাচ্চা দিয়ে সাগরে ফেরার পথে চরগড়া জালে বাধা পেয়ে চরের ওপর আটকে যায়।
×