নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী, ২৪ জানুয়ারি ॥ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার গ্রামের বাড়ি থেকে কালাইয়া নওমালা ডিসি সড়ক পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কের নির্মাণ কাজ দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় দ্বীপ এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৫০ লাখ ৯১ হাজার ৯শ’ ৪০ টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ৭০ মিটার দীর্ঘ একটি কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী ২০১৮ সালে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজের ৫০ ভাগ অগ্রগতির পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ শেষ না করে ফেলে রাখে। এ অবস্থায় ওই এলাকায় মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কোন যানবাহন চলতে পারছে না।
এই সড়কটি দিয়ে নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজ, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া ফাযিল মাদ্রাসা, মধ্য নওমালা সরকারী প্রাইমারি স্কুল, পশ্চিম নওমালা সরকারী প্রাইমারি স্কুল, মধ্য নওমালা সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন গালর্স সেমিনারী, আলেয়া রহমান সরকারী প্রাইমারি স্কুল ও বিডিসি সরকারী প্রাইমারি স্কুলের ৫ সহস্র্রাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ যাতায়ত করেন। এছাড়াও এই সড়কটি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দশমিনা উপজেলার বেতাগী সাংকিপুরা গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সড়কটির কিছু অংশে বেট বা মাটি কেটে রাখা হয়েছে। আবার কোন অংশে বালু ও খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে। ইট রাখা হয়েছে সড়কের মধ্য স্থলে। যার ফলে হেঁটে যাতায়াত করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম হুদার ভাই কেএম নাসির উদ্দিন বলেন,‘ সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করতে আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। দুই বছর পর্যন্ত সড়কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন’।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: