স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুয়ারেজের ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব সড়ক, ভাঙাচোরা রাস্তা, ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল, অন্ধকার অলিগলি-রাজধানীর জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করে প্রতিনিয়ত। এগুলো মেরামতে কর্পোরেশনের বরাদ্দ থাকলেও সমাধান মেলে না সহসাই। গড়ে ৭-১০টি ওয়ার্ডে একজন ঠিকাদার থাকায় দ্রুত কাজ হয় না, তাই প্রয়োজনে আলাদা বরাদ্দ দিয়ে ভোগান্তি লাঘবে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রকৌশল বিভাগের।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন আর বিআরটিসির আন্তর্জাতিক বাস ডিপোর সামনের রাস্তার বেহাল অবস্থা। মাসের পর মাস ধরে এ দূরবস্থার মধ্যেই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হয়। নগর ভবনের খুব কাছেই তিন বছর ধরে পড়ে আছে খুঁড়ে রাখা রাস্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঝে মাঝে মর্জিমতো কাজ করতে আসে ঠিকাদারের লোকজন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে শেষ হয় না রাস্তা ও ড্রেনের সংস্কার কাজ।
এসব কাজ করার জন্য টিসি বা টার্ম বরাদ্দ আছে কর্পোরেশনের কিন্তু কোথাও এ কাজ সহসাই হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত ঠিকাদাররা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও তাদের দাবি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বকেয়া বিলের টাকা পরিশোধ না করায় ঠিকমতো কাজ করেন না অনেকেই।
উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের স্বীকারোক্তি, আর্থিক সঙ্কট না থাকলেও কাজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকায় ভোগান্তি আছে এখানেও। ম্যানহোলের ঢাকনা, সড়ক বাতি, অলিগলি ও মহল্লার সড়কের তাৎক্ষণিক সংস্কার এবং মেরামতের জন্য জোনভিত্তিক বরাদ্দের পরিবর্তে ওয়ার্ডভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের আহ্বান নগরবাসীর।