ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী কর্মকৌশল নির্ধারণ

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

 ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী কর্মকৌশল  নির্ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছর মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে কোন একক রোগে এত মানুষের হাসপাতালে ভর্তির নজির নেই। সরকারী হিসাবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৯ হাজার ৭৫৫ জন, আর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৮ হাজার ৯৭২ জন। এখনও প্রতিদিন একশ’র মতো মানুষ নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১২১ জন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখন থেকেই বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা-কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে হবে। সে অনুযায়ী কাজ না করলে আগামী বছর এটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। জানা গেছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২১ নবেম্বর ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায় কী হবে, সে বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন, মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেছে অধিদফতর। জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডাঃ আয়শা আক্তার বলেন, ‘আগামী বছরের করণীয় নির্ধারণে স্বাস্থ্য অধিদফতর বৈঠক করেছে। সম্মিলিতভাবে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ ডেঙ্গু চিকিৎসার গাইডলাইনেও পরিবর্তন আনা হবে বলে জানান তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এতদিন ডেঙ্গুকে কেবল রাজধানীর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ধরা হলেও চলতি বছরে পুরো দেশেই তা ছড়িয়েছে।’ ডাঃ আয়শা বলেন, ‘যদিও ডেঙ্গু চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে এ-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এরপরও সবাইকে আবার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, গাইডলাইন পরিবর্তন করা হবে। শুরুতে যে ফ্লুয়িড ম্যানেজমেন্ট করা হয়, সেটা যেন আগামী বছর শুরু থেকেই করা হয়।’ তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে কয়েকটি বিভাগ যেমন খুলনা, বরিশালে এবার ডেঙ্গুর ব্যাপকতা দেখা গেছে। তাই এসব জায়গায় বিশেষ করে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানান তিনি। মশা জরিপ যেটা বছরব্যাপী চলছে, সেটা চলবে বলে জানান ডাঃ আয়শা। জানতে চাইলে কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘আগামী বছর মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে থামানো যাবে না, কন্টিনিউ করতে হবে। অপরদিকে তিন থেকে চার ধরনের মশা মারার ওষুধ বা কীটনাশক পরীক্ষা করে আগে থেকে প্রস্তত করে রাখতে হবে।’ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশাকে নির্মূল করতে হবে আর তা করতে হলে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ে মশক নিধন কর্মসূচী হাতে নিতে হবে, যা কিনা সিটি কর্পোরেশন থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে কাজ করবে।’
×