ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়া হবে

প্রকাশিত: ১০:৪১, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

 ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়া হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। তিনি বলেন, দেশের নিরাপদ মাতৃত্ব, শিশু মৃত্যুহার ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে গ্রামগঞ্জেও ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের বিকল্প নেই। এ জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকসহ সেবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাতে নিরাপদ অবস্থানের জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগস্থ ভোরের কাগজ পত্রিকার কনফারেন্স রুমে ভোরের কাগজ ও এনজিও ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের উপস্থাপনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের জাতীয় পরামর্শক পলিসি সাপোর্টের মনিরুজ্জামান, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এর গবেষণা, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আহসান হাবিব, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওয়াশ স্পেশালিস্ট মাহজাবিন আহমেদ, সিমাভির কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক মজুমদার, ইউএসটির নির্বাহী পরিচালক শাহ মোঃ আনোয়ার কামাল, ইউনিসেফ’র ড. মাহফুজার রহমান, ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর’র পরিচালক মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান, ব্র্যাকের মোঃ জিল্লুর রহমান প্রমুখ। দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থা তুলে ধরে আলোচকরা বিভিন্ন তথ্যাদির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটিতে ন্যূনতম ২টি করে ব্যবহারযোগ্য টয়লেট প্রদান করা হয়েছে। এগুলোতে মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা করে দেয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীর ঘাটতি থাকায় সব ক্লিনিকে সমানভাবে পরিচ্ছন্ন হয়তো নেই। তবে শীঘ্রই পর্যাপ্ত সংখ্যক পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে এবং তখন টয়লেটের অপরিচ্ছন্নতাও দূর হবে। এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তমানে ৭২ ভাগ সরকারী হাসপাতালে উন্নত ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে। অবশিষ্ট ২৮ ভাগ টয়লেটের আধুনিকায়ন ও পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগও আমরা হাতে নিয়েছি। এ বছরই বাকি ২৮ ভাগ টয়লেট পরিচ্ছন্ন হবে বলে আশা করছি। আলোচনা সভায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ১৯৯০ সালের দিকে গ্রামের মানুষ খোলা জায়গায় পয়োনিষ্কাশন করত। বর্তমান সময়ে পরিস্থিতি আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ কেবল টয়লেটই চায় না বরং আধুনিক টয়লেটের দিকে মানুষ ঝুঁকে গেছে। মানুষের চাহিদা ও মননশীলতায় বর্তমানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এর ১৭টি অভীষ্টর মধ্যে অন্যতম অভীষ্ট-৬। যার উদ্দেশ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। বিশ্ব জুড়ে পানি এবং স্যানিটেশন নিয়ে চলমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন এটি। ক্রমবর্ধনশীল বৈষম্য, প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস, পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলো স্থান পেয়েছে এখানে। সামাজিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যে বিশুদ্ধ পানি, সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং বাস্ত্রতন্ত্রের উপর নির্ভরশীল সেটাই এখানে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রকৃতিকে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে এমডিজি অর্জন করেছে। এখন এসডিজি অর্জনের পথেই আছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় ৬নং ও ৩নং ধারা নিয়ে স্বাস্থ্য খাত যেভাবে তৎপর রয়েছে এটিকে ধরে রাখতে পারলে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান আগামীতে সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে বলে জানান আলোচকবৃন্দ।
×