ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শীতের জ্যাকেট

প্রকাশিত: ১০:০৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

  শীতের জ্যাকেট

এখনও বইছে কনকনে হাওয়া। শীতের আমেজ তার রাশ টেনে রেখেছে। আর এ সময়টাতে চারদিকে উৎসবের আমেজ পাওয়া যায়। পারিবারিক, সামাজিক কিংবা ধর্মীয় যে কোন উৎসবই এ মৌসুমে এসে যেন অন্য রকম আবহ সৃষ্টি করে। এ সময়টায় উৎসবের আকাশ যেন আরও রঙিন হয়ে ওঠে। উৎসবপ্রিয় জাতি হিসেবে বাঙালী জাতি অনন্য বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। যে কোন উৎসবেই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে একাকার হয়ে যেতে পারে। ভেদাভেদ ভুলে উৎসবকে করে তোলে আরও বেশি বর্ণময়। উৎসব উপলক্ষে নেয়া হয় নানা রকমের প্রস্তুতি। তার মধ্যে পোশাক অন্যতম। বাঙালী এখন ফ্যাশনসচেতন জাতি হিসেবে স্বীকৃত। উৎসবভিত্তিক পোশাক এখন ফ্যাশন ট্রেন্ডের পরিচিত রূপ। এবারের শীত শুরু হলো হীম বাতাসের মধ্য দিয়ে। ইতোমধ্যে সবাই ভারি কাপড় কিনতে শুরু করেছে। তাই বিভিন্ন কোম্পানি এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে বাজারে ছেড়েছে ফ্যাশনএ্যাবল জ্যাকেট। শাড়ির সঙ্গে কামিজ, প্যান্টের সঙ্গে পরতে পারবেন এই জ্যাকেট। অনেক জ্যাকেট সামনে একেবারে খোলা থাকে আবার অনেকগুলোতে থাকে বোতাম চেন, ফিতা ইত্যাদি। মানুষভেদে পছন্দ আলাদা তাই ফ্যাশনের কালেকশন ও আলাদা। যাই বলেন- ফ্যাশনে যুক্ত হয়েছে জ্যাকেট। তরুণরাও স্বাগত জানিয়ে গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এবার শীতে ফ্যাশনএ্যাবল জ্যাকেটের ক্রেতা বেশিরভাগই হলো নারী। ফ্যাশন হাউসগুলোও নারীদের প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করেছে পোশাকগুলো। যেখানে পাওয়া যাবে রাজধানীর যতগুলো ফ্যাশন হাউস রয়েছে সবই পাবেন জ্যাকেটের প্রদর্শন। উন্নতমানের কিনতে হলে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের শোরুমে যাওয়াই ভাল। যেমন যেতে পারেন- ক্যাটস্ আই, একস্ট্যাসি, আর্টিস্টি, ফ্রিল্যান্ড, ওটু, স্মার্টেক্স, প্লাস পয়েন্ট, তানজিম স্ট্রিট, ইনফিনিটি, কান্ট্রি বয়, রেক্সসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে। এ ছাড়াও পাবেন বড় সব শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে। নিউমার্কেট, বঙ্গবাজার, ইসলামপুর, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, রাজধানী সুপার মার্কেট, প্রিন্স প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে পাবেন জ্যাকেটের শোরুম। জ্যাকেটের দর-দাম যেহেতু আপনি বাজার ঘুরে জ্যাকেটটি কিনতে চাচ্ছেন। দর দাম সম্পর্কে একটু অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলে অবশ্যই আপনার সহযোগিতা হবে। বেশ কতগুলো ফ্যাশন হাউস ঘুরে আপনাদের দর-দামের একটি ধারণা দিচ্ছি- রেক্সিন জ্যাকেট পাবেন-১২শ’ থেকে ২৫শ’ টাকার মধ্যে, চামড়ার জ্যাকেট ২২শ’ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে। রেইন কোর্টের মতো পাতলা কাপড়ের জ্যাকেট পাবেন- ১৫শ’ টাকা থেকে ৩৫শ’ টাকার মধ্যে, মকমলের জ্যাকেট পাবেন- ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। সুতি কাপড়ের জ্যাকেট ১৮শ’ থেকে ৫ হাজার টাকায় এবং খাদি কাপড়ের জ্যাকেট ১ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাবেন। বাংলাদেশী ক্রেতাদের রুচি যাচাই-বাছাই করে, বিদেশী কোম্পানিগুলো এবার তৈরি করেছে ফ্যাশনএ্যাবল জ্যাকেট। বাজারে চায়না, জ্যাকেটে ছেয়ে গেছে। প্রায় প্রতি শোরুমে দোকানগুলোতে পাবেন চায়না জ্যাকেট, যেমন কোয়ালিটি, তেমনি রং। সেলাইয়ের মানও ভাল। বর্তমানে আজকের তরুণরা চায়না জ্যাকেট বেশ পছন্দ করে। দামের হিসাব করলে দেশি তৈরি জ্যাকেট ও চায়না জ্যাকেটের দাম প্রায় কাছাকাছি। বিদেশী জ্যাকেটের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলো- ইরানী, এ্যারাবিক, বিলেতি ইত্যাদি। তবে দেশের তৈরি জ্যাকেটগুলো মফস্বল এলাকায় বেশ চলছে। নিম্নআয়ের লোকজন দেশীয় তৈরি জ্যাকেটই বেশি পছন্দ করে। ফ্যাশন ডেস্ক পোশাক : ইজি
×