ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পিলখানা হত্যা মামলার রায়ের আংশিক পর্যবেক্ষণ

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

 পিলখানা হত্যা মামলার রায়ের আংশিক পর্যবেক্ষণ

(গতকালের সম্পাদকীয় পাতার পর) রাষ্ট্রপক্ষের পরীক্ষিত সাক্ষ্য, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী, নথিতে সংরক্ষিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র, তর্কিত রায়ে বিচারিক আদালতের পর্যবেক্ষণ, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় আপীলকারী পক্ষের নিযুক্ত বিজ্ঞ কৌঁসুলির দেয়া সাজেশন সাক্ষীগণ ‘সত্য নয়’ বলে অস্বীকার করায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য থেকে আপীলকারী কাক্সিক্ষত কোন সুবিধা আদায় করতে পারেনি। অনুরূপ অবস্থায় সাক্ষীদের জবানবন্দী আপীলকারীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করতে আইনগত কোন বাধা নেই। সাক্ষ্য আইনের ১৩৪ ধারার বিধান মতে অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে সাক্ষীর সংখ্যা বিবেচ্য বিষয় নয়, বরং নির্ভরযোগ্য ও উপযুক্ত একজন সাক্ষীর বক্তব্য বিশ্বাস করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দন্ড ও সাজা দেয়া যায়। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার বিধান মতে উপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সম্পাদিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিজেকে জড়িয়ে বক্তব্য প্রদান (In-culpatory in nature) বিবেচিত হলে এবং উক্ত জবানবন্দী গ্রহণের পরে প্রদানকারী তা লিখিতভাবে প্রত্যাহারের আবেদন (Retract) করলেও এরূপ প্রত্যাহারের আইনগত ভিত্তি না থাকায় উক্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দন্ড ও সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে আইনানুগ কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। সহ-আসামি নিজেকে জড়িয়ে প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী সাক্ষ্য আইনের ৩০ ধারার বিধান মতে নিরপেক্ষ সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত হলে অন্য সহ-আসামির বিরুদ্ধে সমর্থিত সাক্ষ্য (Corroborative evidence) হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এরূপ ক্ষেত্রে মামলার ঘটনা, পারিপার্শ্বিকতাসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ও সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় বিবেচনায় নেয়া বাঞ্ছনীয়। আলাচ্য মামলার ঘটনা, পারিপার্শ্বিকতা, নৃশংসতা বিবেচনায় সাক্ষ্য, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী, সহ-আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী, সুরতহাল রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, ৩৪২ ধারায় আপীলকারী মৌখিক বা লিখিত বর্ণনা ও উপযুক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক সম্পাদনকৃত অন্যান্য দলিলাদিসহ প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক আইনের সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় সংক্রান্তে উচ্চ আদালতের প্রাসঙ্গিক নজির ও আইনের নির্দেশনা এ রায়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তর্কিত রায়ে আপীলকারীর বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথ ও আইনানুগ হওয়ায় উক্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে এই আদালতের বিরোধিতা করার আইনানুগ বা যৌক্তিক কোন কারণ নেই। আপীলকারীসহ অন্যান্য বিদ্রোহীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনার বহুপূর্ব থেকে প্রিম কোচিং সেন্টারসহ পিলখানার অভ্যন্তরে ও বাইরে দফায় দফায় ষড়যন্ত্রের মিটিং করেছে। বাংলাদেশ রাইফেলসের নেতৃত্বে থাকা সামরিক অফিসারদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগসহ তাদের দাবি দাওয়া সংবলিত লিফলেট প্রস্তুত ও বিতরণ করেছে। বিদ্রোহীরা ঘটনার পূর্বরাতে পিলখানার বাইরে অভিযোগপত্রের ২৩নং আসামি জাকারিয়া মোল্লার ভাড়া বাসায় মোমবাতি জ্বালিয়ে একে অপরের হাতে হাত রেখে ষড়যন্ত্র ও শপথ গ্রহণ করে এবং যে কোন মূল্যে তাদের দাবি আদায়ের জন্য সেনা অফিসারদের জিম্মি ও হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে যা রাষ্ট্রপক্ষের ৩৩৭, ৩৩৮ ও ৫৭৬ নং সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে। উক্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন দরবার শুরুর পূর্বেই বিদ্রোহীরা বিভিন্ন ইউনিট থেকে একত্রিত হয়ে দুই ভাগ হয় এবং কোত ও ম্যাগাজিন ভেঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, গ্রেনেড ও বিস্ফোরক দ্রব্য লুট করে দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশ রাইফেলসের মহাপরিচালককে টার্গেট করে সিপাহী মাঈনের নেতৃত্বে দরবার হলে সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। উদ্ভূত অবস্থায় দরবারে অংশ নেয়া বিডিআর সদস্যগণ ‘জাগো’ বলে আওয়াজ তুলে দরবার হল থেকে বেরিয়ে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় রণসাজে সজ্জিত হয়ে বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ রাইফেলসের নেতৃত্ব থেকে প্রেষণে নিয়োজিত সামরিক বাহিনীর অফিসারদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে দিয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে পিলখানার অভ্যন্তরে বিদ্রোহীরা একই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সশস্ত্র অবস্থায় বেআইনী সমাবেশ করে এবং বেপরোয়াভাবে পিলখানার অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনজীবনে ভীতি সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় বিদ্রোহীরা বাংলাদেশ রাইফেলসের মহাপরিচালকসহ দায়িত্বপালনরত পদস্থ সামরিক অফিসারদের খুঁজে খুঁজে বের করে ব্রাশড ফায়ারে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত করে মৃত্যু নিশ্চিত করাসহ লাশ বিকৃত ও ইউনিফর্মসহ র‌্যাঙ্ক ব্যাচ খুলে ফেলে, যাতে ভবিষ্যতে সেনা অফিসারদের মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা না যায়। সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নৃশংসতার চিত্র পরিস্ফুটিত হয়েছে। আপীলকারীসহ বিদ্রোহীরা সেনা অফিসারদের মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে ম্যানহোল, সোয়ারেজ লাইনে ফেলে দেয়। তাছাড়া হত্যাকারীরা দরবার হলসহ পিলখানার অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সেনা অফিসারদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ ট্রাক ও পিকআপে করে বিডিআর হাসপাতালের মরচুয়ারীর কাছে নিয়ে যায় এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ওরা ঠান্ডা মাথায় নারী ও পুরুষের মৃতদেহ উলঙ্গ/অর্ধালঙ্গ অবস্থায় গাদাগাদি করে পিলখানার অভ্যন্তরে গণকবর দিয়ে ইট, কাঠ, বাঁশ, ডাল ও শুকনা পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছদ্ম-আবরণ (Camouflage) সৃষ্টি করে, যাতে বোঝা না যায় যে সেখানে গণকবর আছে। ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের নেতৃস্থানীয় সদস্যরা ইন্ধনদাতা ও স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কথিত দাবি আদায়ের নামে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে দেশব্যাপী বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রতি প্রকাশ্যে হুমকি এবং রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করার নগ্ন অপচেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনার সার্বিক পর্যালোচনায় এটা সুস্পষ্ট হয় যে, এই বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী অভিযুক্ত ও দন্ডপ্রাপ্ত বিদ্রোহীরা জঘন্যতম হত্যাকান্ড সংঘটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫৭ জন দেশ প্রেমিক ও মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরস্ত্র ব্যক্তিকে অমানবিক ও নৃশংসভাবে খুন করেছে, যা দন্ডবিধির ১২০-বি/৩০২/৩৪/১৪৯/২০১ ধারায় বর্ণিত অপরাধের উপাদানের সঙ্গে দৃশ্যত মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তাছাড়া সশস্ত্র বিডিআর বিদ্রোহীরা অস্ত্রাগার ভেঙ্গে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠন করে বাংলাদেশ রাইফেলসে মহাপরিচালকের বাংলোসহ অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাদের বাসভবন ও অফিসার মেসে জোরপূর্বক অনধিকার প্রবেশ করে তাদের স্ত্রী, সন্তান, মেহমান ও গৃহকর্মীদের ওপর নৃশংস ও পাশবিক নির্যাতন ও হত্যাকান্ড চালিয়েছে। তারা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান সম্পদ লুণ্ঠন, বাড়ি ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, গোলাগুলি ও গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায় জঘন্য অপরাধ করেছে, যা একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যদের জন্য ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আপীলকারী ডিএডি তৌহিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ বিচারিক আদালতে ১, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ২০, ২৭, ২৮, ৪৮, ৫৬, ৭৩, ৭৭, ১০৫, ১০৬, ১১০, ১১১, ১৫৪, ২৮৮, ৩০১, ৩১৩, ৩১৬, ৩২১, ৩২৭, ৩৩১, ৩৩৪, ৬৫৪ নং সাক্ষী উপস্থাপন ও পরীক্ষা করেছে। সাক্ষীরা আপীলকারী নাম/পদবী, রেজিমেন্ট ও ব্যাটালিয়ন নং উল্লেখ করে সঠিকভাবে শনাক্ত করেছে। এজাহারকারী, তদন্তকারী কর্মকর্তা, মেডিক্যাল অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট চাক্ষুষ সাক্ষীগণ বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে এজাহার, অভিযোগপত্র, সুরতহাল রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত রিপোার্ট, জব্দতালিকা, জব্দকৃত আলামত, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীসহ সার্বিক ঘটনা যথাযথভাবে উপস্থাপন, প্রদর্শন ও চিহ্নিত করে আপীলকারীর বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে। আপীলকারী আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিচারিক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় দেয়া বর্ণনার স্বপক্ষে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য সাফাই সাক্ষী প্রদান করেছে যা নিরপেক্ষ সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত না হওয়ায় তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত বা নিরপেক্ষ কোন সাক্ষ্য প্রদান না করায় ৩৪২ ধারায় প্রদত্ত বক্তব্য সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারার বিধান মতে বিবেচনা করার আইনানুগ কোন সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। অনুরূপ অবস্থায় আপীলকারী পক্ষের বিজ্ঞ কৌঁসুলির এ সংক্রান্তে উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক ও উচ্চ আদালতের নজিরসমূহ এই ব্যতিক্রমধর্মী ও নজিরবিহীন মামলার ক্ষেত্রে যথাযথ ও প্রাসঙ্গিক না হওয়ায় তা গ্রহণ করা সমীচীন নয়। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য, এ রায়ে উদ্ধৃত ও আলোচিত উচ্চ আদালতের নজির, ব্যবহারিক ও প্রয়োগিক আইন বিশেষ করে দন্ডবিধির ৩০২/১২০বি/৩৪/১৪৯ ধারার অপরাধে অংশ গ্রহণকারী ব্যক্তি মূলধারায় নির্ধারিত অপরাধেই দোষী গণ্যে দন্ড ও সাজাপ্রাপ্তির হকদার। সে কারণে আমাদের দন্ডবিধি ও সংশ্লিষ্ট ব্যবহারিক আইনের বিধান পর্যালোচনা ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতাসহ ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বর্বরোচিত এই হত্যা মামলায় দন্ড ও সাজা নির্ধারণের ঐতিহাসিক যৌক্তিকতা নির্ণয়ে সহায়ক বিবেচনায় এ রায়ে আলোচিত প্রখ্যাত মনিষীগণের গবেষণালব্ধ সুচিন্তিত মতবাদ যা আইন বিজ্ঞান, অপরাধ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান ও দন্ডবিজ্ঞানে বর্ণিত হয়েছে এবং তদসহ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে হত্যাসহ উল্লিখিত অন্যান্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর সাজা প্রদান সংক্রান্ত মৌলিক দর্শন যা শতাব্দীর পর শতাব্দী কালতক জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে মানব সভ্যতার ইতিহাসে চলমান রয়েছে। আমাদের সুপ্রীম কোর্টসহ এই উপমহাদেশের উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তিকৃত ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত মামলাসমূহে প্রদত্ত রায়ের প্রাসঙ্গিক নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ এই মামলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশসহ বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লিখিত সুবিচার সংক্রান্ত মৌলিক নির্দেশনাসহ উল্লিখিত মতামত ও পর্যবেক্ষণের আলোকে আপীলকারীর দায়েরকৃত জেল আপীল/ফৌজদারি আপীলটি মঞ্জুরযোগ্য না হওয়ায় তা ন্যায় বিচারের স্বার্থে গুণাগুণের ভিত্তিতে (On merit) খারিজ পূর্বক আপীলকারীর বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের আনীত মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের আবেদনটি গ্রহণ ও অনুমোদনের সিদ্ধান্তে আমরা একমত পোষণ করেছি। এ রায়ে ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক আইনের ব্যাখ্যা ও পর্যালোচনাসহ ১৩৯ জনের মৃত্যুদন্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও খালাসপ্রাপ্ত সকল আপীলকারীর মামলা পৃথক পৃথক পর্যবেক্ষণে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। (সমাপ্ত) লেখক : হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি
×