ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার একই পদ্ধতিতে সারবে সব ক্যান্সার

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

 এবার একই পদ্ধতিতে  সারবে সব ক্যান্সার

প্রস্টেট, স্তন, ফুসফুস, রক্ত, ত্বক, অন্ত্রসহ প্রায় সব ধরনের ক্যান্সারে কোষকেই ধ্বংস করার একটি উপায় প্রথমবারের মতো জানা গেল। ব্রিটেনের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা অবশ্য সফল হয়েছেন গবেষণাগারে ইঁদুর ও কোষের ওপর চালানো পরীক্ষা-নিরীক্ষায়। মানুষের ওপর এখনও সেই পদ্ধতির প্রয়োগ হয়নি। আনন্দবাজার পত্রিকা। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার ইমিউনোলজির সর্বশেষ সংখ্যায় বলা হয়েছে, আগামী দিনে মানুষের ওপর পরীক্ষাতেও সাফল্য এলে ক্যান্সার চিকিৎসায় এই পদ্ধতিই সেরা বলে বিবেচিত হবে। গবেষকদের আশা, মানুষের ক্ষেত্রেও এই অভিনব পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ক্যান্সার চিকিৎসায় তা দিক-নির্দেশক হয়ে উঠবে। গবেষকরা কাজ করেছেন আমাদের দেহের বিশেষ এক ধরনের প্রতিরোধী কোষ নিয়ে যেটি রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) ব্যবস্থা গড়ে তোলে। কলকাতার ক্যান্সার গবেষক সুশান্ত রায় চৌধুরীর কথায়, ‘এই পদ্ধতিতে মানুষের ওপর পরীক্ষায় সাফল্য এলে ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে তা একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে।’ প্রতিরোধী কোষগুলো যেভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ আক্রমণ করে বলে এখন পর্যন্ত আমাদের জানা আছে, কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন, সেই সব ছাড়াও এক্ষেত্রে অন্য কোন উপায় রয়েছে কি না। খুঁজতে গিয়ে তারা রক্তের এক ধরনের প্রতিরোধী কোষের সন্ধান পেয়েছেন। তারা এর নাম দিয়েছেন টি সেল। এদের কাজ আমাদের শরীরটার ‘স্ক্যান’ করা। সম্ভাব্য সংক্রমণের আগে ওই কোষগুলো শরীর স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে আগেভাগে সেটা আঁচ করে। সংক্রমণ কীভাবে রুখা যায়, তার ব্যবস্থা নেয়। টি সেল কোন সংক্রমণ হলেই রক্তে ছুড়ে বিশেষ প্রোটিন। এক এক ধরনের টি-সেলের গায়ে লাগানো থাকে এক এক ধরনের ‘চাবি’। যার ‘তালা’টা থাকে ভাইরাস বা কোন সংক্রমণে আক্রান্ত কোষগুলোর গায়ে। টি-সেলগুলো তার চাবি নিয়ে চলে যায় সংক্রমণে আক্রান্ত কোষগুলোর কাছে। তার গায়ে সেঁটে গিয়ে আক্রান্ত কোষের তালাটা বন্ধ করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সেই আক্রান্ত কোষে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। তারপর আক্রান্ত কোষটি মরে যায়।
×