অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে কি-না তা অনুসন্ধানে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধে তাগিদ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতাধীন প্রকল্পসমূহের ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারের দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিতে গৃহীত ৩৪টি বাফার গোডাউন দেশীয় স্টিল ম্যানুফেকচারিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্মাণ করা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। তিনি চিনিকলসমূহে সঠিকভাবে ইক্ষু সরবরাহ হচ্ছে কি-না সেটি মন্ত্রণালয়ের সারপপ্রাইজ ভিজিটের মাধ্যমে তদন্তেরও নির্দেশনা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের অব্যবহৃত জমিতে আগামী অর্থবছরে বাস্তবায়ন শুরুর লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় দেশের সর্বত্র মানসম্মত পণ্য ও কারিগরি প্রশিক্ষণ নিশ্চিতে সব জেলায় বিএসটিআই ও বিটাকের কার্যালয় সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ১২ লাখ টন সার মজুদ রয়েছে এবং বিদ্যমান গোডাউনসমূহের ধারণ ক্ষমতা তিন লাখ টন। নির্মাণাধীন ১৩টি বাফার গোডাউনের মধ্যে পঞ্চগড় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের কাজ এ বছরের এপ্রিল এবং শেরপুর, গাইবান্ধা, যশোর ও রাজবাড়ীর গোডাউনের কাজ সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে। অবশিষ্ট গোডাউনের কাজ ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, চামড়া শিল্প নগরীতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যমান ডাম্প ইয়ার্ড দুই বছর পর ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়বে। দীর্ঘ মেয়াদে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সেখানে নতুন ডাম্প ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ আগামী অর্থবছর হতে শুরু হবে।
এছাড়া ১৪টি সরকারী চিনিকলের জন্য বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে সভায় জানানো হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতর সংস্থাসমূহের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং পরিকল্পনা কমিশন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
