ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠিকানা পাচ্ছেন যশোরের হতদরিদ্র ভূমিহীন তিন নারী

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

   ঠিকানা পাচ্ছেন যশোরের হতদরিদ্র ভূমিহীন তিন নারী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের হতদরিদ্র ভূমিহীন তিন নারী পেতে যাচ্ছেন তাদের একটি ঠিকানা। জেলা প্রশাসন ও তিনটি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে তাদের বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর বাউলিয়া গ্রামে তাদের এই মাথা গোঁজার আশ্রয় হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ এই বাড়ি নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। যশোরের উন্নয়ন সংস্থা ‘ধারা’ নির্বাহী পরিচালক লিপিকা দাশগুপ্তা জানান, ‘ধারা’ ও ‘সিলভিপ’ আর্থিক সহায়তা দিয়ে হতদরিদ্রদের গৃহনির্মাণ করে থাকে। ছয় মাস আগে যশোরের জেলা প্রশাসক এই প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত হন। এরপর জেলা প্রশাসনও এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ছিন্নমূল তিন নারীর জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এডাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান নান্নু জানান, আরেকটি উন্নয়ন সংস্থা ‘বঞ্চিতা’ এবং উপকারভোগীদের যৌথ উদ্যোগে যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া গ্রামে দশটি পরিবারের জন্য সাড়ে ১৪ শতক জমি কেনা হয়েছে। এই জমিতে ছিন্নমূল হতদরিদ্র তিন নারী অঞ্জলি, শিউলি ও নুপুর’র জন্য ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ধারা’র ব্যবস্থাপক নুরুন্নাহার হীরা জানান, ওই তিন নারীর প্রত্যেকের জন্য দুই কক্ষ বিশিষ্ট এক ইউনিটের বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ঘর নির্মাণ করছে জেলা প্রশাসন, ধারা ও সিলভিপ। বৃহস্পতিবার এই ঘর নির্মাণের উদ্বোধনকালে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, গৃহহীন বা ঠিকানাহীনদের একটি ঠিকানা গড়ে দেয়ার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাউলিয়ায় কয়েকটি পরিবারের জন্য প্রশাসন ও উন্নয়ন সংস্থার এই পদক্ষেপ নিসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। অন্যান্য এলাকায়ও এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে দিতে পারলে তা ছিন্নমূল, পিছিয়ে পড়া ও হতদরিদ্রদের জন্য অনন্য নজির হয়ে থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, একটি ঠিকানা ও মাথাগোঁজার আশ্রয় পেয়ে খুবই খুশি অঞ্জলি, শিউলি ও নুপুর। তারা জানান, মা ও সন্তানদের নিয়ে তারা থাকার জন্য একটি বাড়ি পাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা ব্লক, বাটিক, হাতের কাজ শিখেছেন। এর মাধ্যমে তাদের খাওয়া পরার ব্যবস্থাও হবে। তারা সমাজের একেবারে নিম্নস্তরে বসবাস করতেন। সেখান থেকে উঠে এসে তারা একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন পেতে যাচ্ছেন এজন্য জেলা প্রশাসন, বঞ্চিতা, ধারাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
×