ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শামিমের আদালতে আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত: ০২:৩৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শামিমের আদালতে আত্মসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শামিম কবির ওরফে কিলার শামিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মিন্টুসহ ৪টি হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ ডজন খানেক মামলা এবং আরো অর্ধডজন জিডি রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার যশোরের স্পেশাল জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, চৌগাছা উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত শামসুল হক মাস্টারের ছেলে শামিম কবির ওরফে কিলার শামিম বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েন অল্প বয়সেই। ১৯৯৮ সালে চৌগাছার মকবুল হোসেন হত্যা করে সে। এরপর ১৯৯৯ সালে শাহিদুল ইসলামকে হত্যা করেন শামিম। এরপর একের পর এক চাঁদাবাজি ও মারামারির ঘটনাও ঘটিয়ে আসছিলেন। ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট দুপুরে চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর তমালতলা থেকে দুইটি শ্যুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি এবং রাইফেলের ৩ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে র‌্যাব। এঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ২০১৭ সালে যশোরের স্পেশাল জেলা জজ (জেলা জজ) নিতাই চন্দ্র সাহা দোষী সাব্যস্ত করে শামিমকে ১০ বছর এবং অন্য ধারায় আরও ৭ বছরসহ মোট ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। এ সময় তিনি পালাতক ছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মিন্টুকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলি করে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে। একই বছরে সৌরভ নামে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা করে শামিম। এরপর ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে চৌগাছা থানায় ৮টি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগীরা। একাধিক সূত্র মতে, শামিম নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। আর এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করে। এসকল অপরাধ সংগঠিত করে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে ছিলেন শামিম। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন সভা সমাবেশে প্রকাশ্যে হওয়ায় তার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর পড়ে। ফলে বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
×