ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইশরাক দেশবাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছেন ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০২:৩৫, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

ইশরাক দেশবাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছেন ॥ ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক ॥ ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের পক্ষে গণসংযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের এই তরুণ নেতা যিনি ইতোমধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছেন তার সাহসী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তার বক্তব্য প্রমাণ করেছে যে তিনিই একমাত্র নেতা যিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্ট গেটে দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুল একথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনকে ছেলে খেলার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার ইভিএম-এ নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কারণ তারা জানে ইভিএম ছাড়া তাদের নির্বাচন করা সম্ভব না। আমরা বারবার ইভিএমের বিরোধিতা করেছি। তারপরও আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা জানি জনতার মধ্যে যে জোয়ার উঠেছে, ইশরাক মানুষের মধ্যে যে ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন সেই ভালোবাসার শক্তি নিয়ে এই সরকারের সমস্ত অপকৌশলকে বিলীন করে দেবেন। এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা দেখেছেন নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে ইশরাকের ওপর আক্রমণ হয়েছে। তাবিথের ওপর আক্রমণ হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরের প্রার্থী তাবিথের ওপরে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা নিন্দা জানিয়েছি ও প্রতিবাদ করছি। এখন পর্যন্ত এই ঠুঁটো জগন্নাথ নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের আহ্বান জানাচ্ছি। ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, তরুণ সম্ভাবনাময় সম্পূর্ণভাবে উদ্দিপ্ত ইশরাক হোসেনকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আপনারা জয়যুক্ত করবেন। একই সঙ্গে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিকে তরান্বিত করবেন। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা মহানগরের উন্নয়ন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। এসময় ইশরাক হোসেন বলেন, আজ পরিবর্তন দরকার। এই সরকার গত ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে কী করেছে। ঢাকা আজ পৃথিবীতে সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য তালিকায় এক নম্বরে। বায়ুদূষণের তালিকায়ও আমরা এক নম্বরে। এই যে ঢাকাকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার কারণ হচ্ছে এই সরকারের জবাবদিহিতা নেই, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। তারা পুলিশ প্রশাসনের ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছে। তাদেরতো জবাবদিহিতা থাকার কথা নয়। আজ প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। তাদের ওপর ভর করে সরকার টিকে আছে। এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, যুগ্ম-মহাসচিব সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
×