ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডাভোস সম্মেলনে মুখোমুখি ট্রাম্প ও গ্রেটা

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

  জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি  ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে

গতবছর সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের পর এবার ডাভোসের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে মুখোমুখি হয়েছেন কিশোরী জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থানবার্গ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক সম্মেলনে গ্রেটা ও ট্রাম্প দু’জনই অংশ নিচ্ছেন। মঙ্গলবার দু’জনই সম্মেলনে একে অন্যকে খোঁচা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। -বিবিসি। ট্রাম্প সরাসরি গ্রেটার নাম না নিলেও তাকে ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব পরিহারের জন্য নেতাদের আহ্বান জানান। ট্রাম্প বলেন, আগামী দিনের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে হলে আমাদেরকে জলবায়ু নিয়ে যারা সবসময় ‘অশুভ কিছু ঘটা’ এবং বিশ্বে ‘বিপর্যয় ঘনিয়ে আসার’ চিন্তা করে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। জলবায়ু সঙ্কটের ক্ষেত্রে ট্রাম্প তার দৃষ্টিকোণ নিয়ে বাড়তে থাকা সমালোচনা সামাল দেয়ার চেষ্টায় আগামী ১০ বছরে ১ ট্রিলিয়ন গাছ লাগানোর একটি পরিকল্পনায় সমর্থন ব্যক্ত করেন। ৩০ মিনিটের বক্তব্যে ট্রাম্প পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সমুন্নত রাখার পক্ষও সমর্থন করেন। ট্রাম্প তুলে ধরেন দেশে তার অর্থনৈতিক অর্জনের খতিয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে দেশীয়ভাবে ১৯ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ যোগ হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে অসাধারণ দুটো বাণিজ্য চুক্তিও সই হয়। তবে ডাভোসের এ সম্মেলনে আলোচ্যসূচীর শীর্ষে স্থান পেয়েছে পরিবেশ ধ্বংসের বিষয়টি। আর সে প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প জলবায়ুকর্মীদের ‘নৈরাশ্যবাদী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি নেতিবাচক নয় ইতিবাচক চিন্তার সময়। অন্যদিকে, গ্রেটাও তার বক্তব্যে সরাসরি ট্রাম্পের নাম না বলে জলবায়ু নিয়ে আবারও নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি এ বিষয়ে আরও বেশি কিছু করার দাবি জানান। ট্রাম্প গাছ লাগানোর যে পরিকল্পনার কথা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে তা যথেষ্ট নয় বলে সমালোচনা করেন গ্রেটা। তিনি অবিলম্বে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের আহ্বান জানান। রাজনৈতিক নেতাদের ফাঁকা বুলি এবং প্রতিশ্রুতিরও সমালোচনা করেন গ্রেটা। জলবায়ুকর্মীদেরকে ‘নেতিবাচক’ বলে সমালোচনা করা আর কাজের কাজ কিছুই না করে বসে থাকা কোন সমাধান নয়- উল্লেখ করে গ্রেটা বিশ্ব নেতাদেরকে তরুণদের কথা শোনার আহ্বান জানান। আগের বলা কথার পুনরাবৃত্তি করে গ্রেটা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি এখনও পুড়ছে।
×