ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শত শত অভিবাসী মেক্সিকো থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

শত শত অভিবাসী মেক্সিকো থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে

মেক্সিকোর সৈন্যরা মধ্য আমেরিকার শত শত অভিবাসন প্রত্যাশীকে গুয়েতেমালায় পুশব্যাক করছে, আটক কেন্দ্রগুলোতে পাঠাচ্ছে, নয়তো হন্ডুরাসে ফেরত পাঠাচ্ছে। কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন। বলা হয়েছে, অজ্ঞাত সংখ্যক অভিবাসী মেক্সিকো কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে উত্তরদিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। এপি। অতিসাম্প্রতিক অভিবাসীদের এ স্রোতটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মেক্সিকোর জন্য এক প্রকাশ্য মঞ্চ হিসেবে দেখা দিয়েছে এবং অভিবাসীরা মনে করছে, এ যাত্রায় তাদের কৌশল পরিমার্জিত হচ্ছে এবং এতে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবে। বলা যায়, তাদের এ কারাভাঁ দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের দিকে অগ্রসর হবে না। অভিবাসীরা গত সপ্তাহে যে সকল দেশ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সে সকল দেশে ফিরে যাওয়ার পথে রয়েছে। এদের প্রতি কেমন আচরণ করা হচ্ছে তা অস্পষ্ট রয়েছে। জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গুয়াডালুপ করেয়া ক্যাবরেরা এ কারভাঁর ধরন পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বলেছেন, এতবেশি সংখ্যক শরণার্থীকে মাত্র কয়েকদিনে এমন স্বাভাবিকভাবে ফেরত পাঠানোর সামর্থ্য মেক্সিকোর নেই। এ করাভাঁর হাজার হাজার অভিবাসী মেক্সিকোকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের প্রত্যাশায় হন্ডুরাস থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু সীমান্ত দিয়ে এদের স্রোত হ্রাসে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সরকারগুলোর প্রতি চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে নতুন করে এক পরীক্ষা হয়ে দেখা দিয়েছে কারাভাঁটি। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড বলেছেন, ২ হাজার ৪শ’ অভিবাসী এ সপ্তাহান্তে মেক্সিকোতে প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার অভিবাসী তাদের সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মেক্সিকো কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। অবশিষ্টদের অভিবাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। মেক্সিকোতে তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বা তাদের জন্য অস্থায়ীভাবে কাজের অনুমতি দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জেসাস নামে এক অভিবাসন প্রত্যাশী মঙ্গলবার তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে গুয়েতেমালায় টেকুনউমানে এক আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। এরপর সে কী করবে তা তার জানা নেই। জেসাস বলে, কোন দেশের নীতিতে আমরা পড়ছি না। আমরা কাজ না করলে খেতে পাব না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবরার্ড আমাদের খাওয়াবেন না। তিনি আমাদের সন্তানদের প্রতি দৃষ্টি দেবেন না। হন্ডুরাসের কর্মকর্তারা বলেন, তাদের দেশের প্রায় ৬শ’ নাগরিক মঙ্গলবার বিমান ও বাসে করে মেক্সিকো পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং আরও অনেকে পরবর্তীতে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। মেক্সিকান কর্মকর্তারা বলেছেন, অতিরিক্ত ১ হাজার অভিবাসী সোমবার অতি কষ্টে সুচিয়েট নদী অতিক্রম করে অবৈধভাবে মেক্সিকো প্রবেশের চেষ্টা করে। এদের বেশির ভাগকেই হয় ফেরত পাঠানো হয়েছে নয়তো পরে আটক কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এ নদীর মেক্সিকো সাইডে সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে সোমবার রাতে আটকে পড়া কয়েক শ’ অভিবাসীর অধিকাংশই পানি, খাদ্য ও ঘুমাবার স্থানের সন্ধানে গুয়েতেমালায় ফিরে গেছে। পরে, মঙ্গলবার প্রায় ১শ’ ৫০ হন্ডুরাস অভিবাসী বোঝাই প্রথম কয়েকটি বাস স্বদেশের উদ্দেশে টেকুনউমান ত্যাগ করেছে। মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলগা স্যানচেজ করডেরো ন্যাশনাল গার্ডকে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আমরা কোনভাবেই নির্যাতন করার মতো কোন নির্দেশ দেইনি। কিন্তু মেক্সিকোয় হন্ডুরাসের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ন্যাশনাল গার্ড অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে বলে উদাহরণ রয়েছে। রাষ্ট্রদূত এ্যালডেন রিভেরা এমসিএইচ নোটিশিয়ারে সঙ্গে সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা এ বিষয়ে মেক্সিকো সরকারের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছি।
×