ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের প্রশংসায় সাবেক পাক ক্রিকেটাররা

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ২২ জানুয়ারি ২০২০

 বাংলাদেশের প্রশংসায় সাবেক পাক ক্রিকেটাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর অবশেষে কয়েকদিন আগেই নিশ্চিত হয়েছে। চার মাসে তিন ধাপে পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুরুতে আজ তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের টি২০ দল পাকিস্তান যাবে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে এক টেস্ট ও এপ্রিলে এক ওয়ানডে ও এক টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাকিস্তান সফরে খেলতে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানানো হচ্ছে। প্রশংসা কুড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি বাংলাদেশ যে পাকিস্তান আসছে, এজন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত বলেও মনে করছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। আজ পাকিস্তানের লাহোরের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। সেখানে গিয়ে ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি যথাক্রমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি২০ ম্যাচ খেলবে। এরপর ২৮ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসবে বাংলাদেশ টি২০ দলের ক্রিকেটাররা। আর দুইদিন আছে সিরিজ শুরু হতে। এর আগে পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজ খেলতে সম্মত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক, প্রধান নির্বাচক ও বিশ্বকাপজয়ী ইনজামাম উল হক। তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে অবশ্যই বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাতে হচ্ছে। কারণ তারা পাকিস্তানে আসছে অবশেষে। পাকিস্তানের সরকার ও বোর্ড তাদের যে নিশ্চয়তা দিয়েছে নিরাপত্তা নিয়ে, সে নিশ্চয়তার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন তারা। অনেক ভাল বিষয় এটি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘ভাগে ভাগে ম্যাচ খেলতে আসছেন তারা। আমার মতে ভাগে ভাগে না খেলে একবারে সিরিজ খেললে ভাল হতো। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের সামনে ক্রিকেট খেলতে তাদের অনেক ভাল লাগবে, তারা অনেক উপভোগ করবেন। বাংলাদেশ পাকিস্তানে আসছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত আমাদের।’ ইনজাজামের আগে ২৬ বছর বয়সী ওপেনার আহসান আলী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বেশ কঠিন দল। তারা অনেক উন্নতি করেছে। তাদের মাহমুদুল্লাহর মতো অসাধারণ ব্যাটসম্যান আছে। তারা সব বিভাগেই উন্নতি করেছে এবং বিশ্বমানের দল। সিরিজটা তাই কঠিন হবে। মাঠে এসে সমর্থন দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি সমর্থকদের।’ পাকিস্তানের সাবেক পেসার উমর গুল বলেছেন, ‘সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ম্যাচের সময়ে যে দল নিজেদের সুযোগ কাজে লাগাবে, তারাই জিতবে। যে কাজটা বাংলাদেশ এর আগেও অনেকবার করেছে। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ পাকিস্তানের মাটিতে আমাদের অনেক কঠিন পরীক্ষা নেবে।’ নিরাপত্তা নিয়ে একটা শঙ্কা সবসময়ই আছে। লাহোরে টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে টি২০ ম্যাচগুলো। এই সিরিজকে সামনে রেখে শহরে বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিতে মোতায়েন করা হবে ১০ হাজার পুলিশ। কোন সমস্যা হলে দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তৈরি থাকবেন ১৯ বিশেষ কর্মকর্তা, সামরিক কমান্ডো এবং রেঞ্জার্স। এ ছাড়াও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এবং স্টেডিয়ামের ভেতর-বাইরে যাওয়ার পথে পূর্ণ মাত্রায় তল্লাশি চালানো হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই খবর জানা যাচ্ছে, লাহোরের অদূরে হারুনাবাদ বাইপাস থেকে অস্ত্রধারী তিন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। সিটিডির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে এই তিনজনকে। সেখান থেকে ৭টি বিস্ফোরক, সেফটি ফিউজ, ২ বাক্স বল বেয়ারিং, ১টি ইলেকট্রিক ব্যাটারি, ১টি ইলেকট্রিক সুইচ এবং দুটি শপিং ব্যাগভর্তি বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে পুলিশ। সিরিজ শুরুর আগে যেমন খবরটি আতঙ্কের। ঠিক তেমনি আবার স্বস্তিরও। সিরিজে মোতায়েন থাকা ১০ হাজার পুলিশ, ১৭ এসপি, ৪৮ ডিএসপি, ১৩৪ ইনসপেক্টর এবং ৫৯২ জন অধস্তন নিরাপত্তাকর্মী যে কাজ ভালভাবেই শুরু করে দিয়েছেন, তাতে স্বস্তিও জড়িয়ে থাকতে পারে।
×