ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকি ॥ আগুনের ওপর চলাফেরা

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ২২ জানুয়ারি ২০২০

সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকি ॥ আগুনের ওপর চলাফেরা

মশিউর রহমান খান ॥ ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে দেশ শাসন ও নাগরিক সেবার দাফতরিক কর্মকান্ডের প্রধান স্থান বাংলাদেশ সচিবালয়। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য থেকে শুরু করে সচিব অতিরিক্ত সচিব তথা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও হাজার হাজার দর্শনার্থী প্রতিদিনই পার করছেন ঝুঁকিপূর্ণ দিন। বাংলাদেশ সচিবালয়ের এই ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রিপোর্ট দিয়েছে, মাটির নিচের জলাধারের ধারণ ক্ষমতা, অবস্থানকারী জনসংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, স্মোক হিট ডিটেক্টর, মেঝের আয়তন, জরুরী নির্গমন সিঁড়ি, লিফট ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখে সচিবালয়ের সব ভবনকেই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানের মোট ১১ ভবনের দশটিই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ভবনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, নির্মাণ ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে যে কোন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোও দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। বাকি পাঁচটি ভবনে অবস্থাও কোনক্রমেই অগ্নিঝুঁকিমুক্ত নয়। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পরিবহনপুল ভবন। এসব ভবনে আগুন লাগলে তা প্রতিরোধযোগ্য হলেও প্রয়োজন হবে অনেক সময়। ’১৭ সালের জানুয়ারিতে গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ঢাকাকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে সব ধরনের স্থাপনা পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় সচিবালয় ভবন পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেয় সরকারী এই সংস্থা। রিপোর্টে বলা হয়, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সচিবালয়ের পুরনো সব ভবনের ইলেক্ট্রিক্যাল ক্যাবল পদ্ধতিও সনাতনী আমলের। প্রতিনিয়ত ফটোস্ট্যাট মেশিন ফ্যান ইলেক্ট্রিক কেটলি এয়ারকন্ডিশনর কম্পিউটার প্রিন্টার ফ্রিজের অবাধ ব্যবহারে প্রতিনিয়তই এসব পুরনো বৈদ্যুতিক ক্যাবলের ওপর ভয়াবহ চাপ পড়ছে। ফলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে শর্টসার্কিট থেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কিন্তু এ দুর্ঘটনা রোধে আগাম কোন প্রস্তুতিই নেই কর্তৃপক্ষের। ফায়ার সার্ভিসের মহড়াও নিয়মিত দেয়া হয় না। আগুন লাগলে কি করতে হবে তার জন্য সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেয়া হয় না কোন প্রশিক্ষণ। ফলে সচিবালয়ে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলে তা ভয়াবহ দুর্যোগ আকার ধারণ করবে, যার খেসারত দিতে হবে গোটা দেশবাসীকে। সরেজমিন পরিদর্শনে অগ্নিঝুঁকি নিরূপণে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি উঠে এসেছে। তাদের দেয়া রিপোর্টে দেখা গেছে, বহুতল ভবনগুলোর কোন কোনটিতে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ওয়াটার রিজার্ভার না থাকা জরুরী বহির্গমন সিঁড়ি বা ফায়ার লিফট না থাকা, নেই ফায়ার হাইড্রেন্ট বা রাইজারের ব্যবস্থা, ফ্লোরে সেফটি লবি নেই ত্রুটিপূর্ণ দরজার সুইং, স্মোক ডিটেকশন ও এলার্ম সিস্টেম নেই, নেই লাইটিং প্রটেকশন, মাত্র সাড়ে ৩ ফুট অপ্রশস্ত সিঁড়ি, এমনকি পার্কিংয়ে নেই স্প্রিংকলার সিস্টেম। এমনকি আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতির দেখাও মেলে না পুরো সচিবালয়ে। অনেকটা দায়সারাভাবেই চলছে ভবনগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ফায়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, সচিবালয়ের প্রতিটি সুউচ্চ ভবন ও এমনকি টিনশেডগুলোও অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলায় নিজেদের সুরক্ষার তেমন কোন ব্যবস্থাই রাখেনি বা এমন প্রযুক্তি নেই। অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলায় একটি ভবনে আগুন লাগলে তা নেভাতে পারবে না খোদ ফায়ার সার্ভিসও। ফলে আগুন ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবনটি চারতলা। এতে নির্মাণবিচ্যুতি পায়নি পরিদর্শন কমিটি। অবশ্য ভবনটিতে ডিটেকশন ও এলার্ম সিস্টেম নেই। ভবনের সব সিঁড়ি ছাদে গিয়ে খোলা হয়নি। এমনকি ছাদে লাইটিং প্রটেকশন সিস্টেম, জরুরী নির্গমন ও ফায়ার লিফট পর্যন্ত নেই। ৪ তলার ২ নম্বর ভবনের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট কানেকশন পর্যন্ত নেই। ভবনটির পৃথক আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার নেই, দরজার সুইং কাজ করে না। এমনকি ফায়ার হাইড্রেন্ট বা রাইজারও নেই। সচিবালয়ের চারতলায় ৩ নম্বর ভবনের চারটি সিঁড়ির মধ্যে মাত্র একটি সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠা যায়। জরুরী নির্গমন পথ, আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার, ডিটেকশন ও এলার্ম সিস্টেম নেই। ৯ তলার ৪ নম্বর ভবনে আলাদা আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার, জরুরী নির্গমন সিঁড়ি ও ফায়ার লিফট নেই, যা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনে আগুন লাগলে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য কোন জরুরী নির্গমন সিঁড়ি, ফায়ার লিফট বা আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভারের কোন ব্যবস্থা নেই। বহুতল এই ভবনে নেই কোন ফায়ার পাম্প সেট, রাইজার, ফায়ার হাইড্রেন্ট ও ফায়ার ডিপার্টমেন্ট কানেকশন। এমনকি প্রতি ফ্লোরে নেই সেফটি লবিও। ভবনটিতে তিনটি সাধারণ সিঁড়ির মধ্যে মাত্র একটি ছাদে যোগ হয়েছে। বাকি দু’টি সিঁড়ির ছাদ খোলা নেই। দরজার সুইংগুলোও ত্রুটিপূর্ণ, ফায়ার ডিটেকশন ও এলার্ম সিস্টেম, এমনকি ছাদে লাইটিং প্রটেকশন সিস্টেম পর্যন্ত নেই। চারতলার সচিবালয়ের ৫ নম্বর ভবনে জনসংখ্যার তুলনায় সিঁড়ির প্রশস্ততা অনেক কম। এই ভবন মাত্র ৩ দশমিক ৫ ফুট প্রশস্ত, যা অগ্নি দুর্ঘটনায় ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করবে। এ সিঁড়ির ছাদ খোলা নয়। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনটি নয়তলা। হাইরাইজ এই ভবনে আলাদা আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার নেই। নেই জরুরী নির্গমন সিঁড়ি ও ফায়ার লিফট। প্রতিটি ফ্লোরে নেই সেফটি লবিও। তিনটি সাধারণ সিঁড়ির মধ্যে কেবল একটি সিঁড়ি দিয়ে ছাদে যাওয়া যায়। বাকি দু’টি সিঁড়ির ছাদ খোলা নয়। দরজার সুইংও ত্রুটিপূর্ণ। নেই ডিটেকশন ও এলার্ম সিস্টেম। রিপোর্টে চারতলার ৮ নম্বর ভবনে পাঁচশ’ লোকের যে কোন দুর্ঘটনায় একসঙ্গে নিচে নামার জন্য মাত্র ৩ দশমিক ৫ ফুট প্রশস্ত একটি সিঁড়ি রয়েছে, যা উদ্ধার কাজের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আবার সিঁড়িটির ছাদও খোলা নয়। দরজার সুইং কাজ করে না। জরুরী নির্গমন সিঁড়িও নেই। নেই ভবনের লাইটিং প্রটেকশন সিস্টেমও। ৫ তলার ৯ নম্বর ভবনে আলাদা আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার থাকলেও নেই ফায়ার পাম্প সেট। তবে হাউড্রেন্ট সিস্টেম, ডিটেকশন সিস্টেম কিংবা রাইজার নেই। ভবনটিতে জরুরী নির্গমন ব্যবস্থা না থাকায় ঢোকার ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল বা দুর্যোগকালীন ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া মূল সিঁড়িটির ছাদ খোলা নয়। সচিবালয়ের ২ তলার ১০ নম্বর ভবনে আলাদা আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার, হাউড্রেন্ট সিস্টেম, রাইজার কিংবা ডিটেকশন ও এলার্ম সিস্টেম কোনটাই নেই। সচিবালয়ের গণপূর্ত ভবনের পাঁচটি টিনশেড ভবন রয়েছে যেগুলো এলার্মিং ও ডিটেকশনের কোন সিস্টেম রাখা হয় নি। এছাড়া মোট ১১ ভবনের কোন ভবনেই নেই পর্যাপ্ত এক্সটিংগুইসার, ভূ-গর্ভস্থ জলাধার। সচিবালয়ের মোট ১১ ভবনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্মাণ বিচ্যুতি হচ্ছে সচিবালয়ের সীমানাসংলগ্ন পরিবহন পুল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভবন। ১২ তলা ও ৫ তলার ভবন দুটির আলাদা কোন আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার নেই। ১২ তলা ভবনে নেই কোন জরুরী নির্গমন সিঁড়ি বা ফায়ার লিফট। উপরে ওঠানামার জন্য মাত্র একটি সিঁড়ি রয়েছে। তবে ৫ তলা ভবনটিতে দুটি সিঁড়ি রয়েছে, যার একটি সিঁড়ির ছাদ খোলা। ভবন দুটির কোনটিতেই ডিটেকশন সিস্টেম, ছাদে লাইটিং প্রটেকশন সিস্টেম বা পার্কিংয়ে স্প্রিংকলার সিস্টেম নেই। মূলত সচিবালয়ের দশটি ভবন, পরিবহন পুল ও গণপূর্ত ভবনের পাঁচটি টিনশেডের কোনটিরই অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলার সামর্থ্য নেই। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (পরিকল্পনা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) লে. কর্নেল জুলফিকার রহমান এ বিষয়ে জনকণ্ঠকে বলেন, সচিবালয়ের ভবনগুলো অনেক আগের, পুরাতন পদ্ধতিতে নির্মিত অতি পুরনো হওয়ায় বেশ কয়েকটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ফায়ার সার্ভিসের জরিপ অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপণ বা যে কোন দুর্ঘটনায় এসব ভবনে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় না। এছাড়াও যে সব আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে তা ব্যবহারের কৌশলও বা আগুন লাগলে কিভাবে তা দ্রুত নেভাতে হবে তার কৌশল কি তাও জানেন না কেউ। এছাড়া পর্যাপ্ত জলাধার না থাকা, অপ্রশস্ত সিঁড়ি থাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে নিচে নামতে গিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির তৈরি হয়ে দুর্যোগে পরিণত হবে। অপরদিকে প্রতিনিয়তই ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ভয়াবহ আকারে বাড়ায় যে কোন সময় অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী দশটি ভবনই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ, যা অনেক উদ্বেগের। অগ্নিনির্বাপণে আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজন ও সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় জানতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর বাইরে পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে অগ্নিরোধে করণীয় শীর্ষক সব পদক্ষেপ অতি জরুরী। সচিবালয় সূত্র জানায়, এসব পুরনো ভবন মূলত অনেক আগ থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। বহু আগে নির্মিত এসব ভবন তৈরির সময় থেকেই ত্রুটি রয়েছে। দফায় দফায় এসব ভবনের ভেতরে বাইরে পুনর্সংস্কার করা হলেও তেমন কোন উন্নতি চোখে পড়েনা। ফলে এসব ভবন অগ্নিঝুঁকি নিয়ে কোন ক্রমে দিন পার করছে। পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, এর আগে বুয়েট গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সমন্বয়ে ভবনগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ তা নির্ধারণে কমিটি গঠন করে সে কমিটি বেশিরভাগ ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ বলে রিপোর্ট দেয়। কিন্তু বার বার নতুন স্থানে সচিবালয় স্থানান্তরের ঘোষণায় তা কার্যকর হতে দেখা যায় না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ বিষয়ে জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা সচিবালয়ের মতো অতি স্পর্শকাতর স্থানকে শতভাগ অগ্নিঝুঁকিমুক্ত রাখতে চাই। তবে এর মূল কাজ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। আমাদের মন্ত্রণালয়েও পর্যাপ্ত সিঁড়ি ছিল না। অগ্নিদুর্ঘটনায় সমস্যা রোধে আমরা আরও দু’টি নতুন লিফট সংযোজন করেছি। এছাড়া পুরো সচিবালয়ের যে কোন দুর্ঘটনায় সাড়া দিতে নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ আমরা ফায়ার সার্ভিসের একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার কাজ চলছে। অবশ্য ফায়ার সার্ভিসের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুরো সচিবালয়ের অগ্নিঝুঁকিমুক্ত করার কাজ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কেই করতে হবে। তারা সহায়তা চাইলে প্রয়োজনে আমরা সহায়তা দেব। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদউল্লা খন্দকার বলেন, মূলত সচিবালয়ের বেশ কয়েকটি ভবন অতি পুরনো হওয়ায় কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও বুয়েট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে একটি টিম গঠন করে ভবনগুলোর অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ মোকাবেলার উপায় বের করতে যৌথভাবে কাজ করছি। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী অগ্নিঝুঁকিসহ সব ধরনের ঝুঁকি নিরসনে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। বেশ কিছুটা কাজ চলছে, কমিটির বাকি সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়েনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পূর্তসচিব বলেন, মূলত পুরান অপ্রশস্ত সিঁড়ির সকল ভবনে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা করা হলেও আসলে তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তবে নতুন ভবনে ওয়াটার রিজার্ভার অগ্নিনির্বাপনায় সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতি স্পর্শকাতর স্থান সচিবালয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারী, যাতায়াতকারীসহ সবাইকে সম্পূর্ণ অগ্নিঝুঁকিমুক্ত রাখতে এ সম্পর্কে করণীয় জানাতে প্রশিক্ষণ মহড়া, অগ্নিনির্বাপণে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এজন্য ফায়ার সার্ভিসের চিহ্নিত সব সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দিয়েই কাজ করা হবে।
×