ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে বিএনপির সিনিয়র নেতারা

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ২১ জানুয়ারি ২০২০

 প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে বিএনপির সিনিয়র নেতারা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমপি, মন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে না থাকায় আচরণবিধি অনুযায়ী বিএনপির অধিকাংশ নেতার নির্বাচনী প্রচারে কোন বাধা নেই। এই সুযোগ নিয়ে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে দলটির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমেছেন। সোমবার প্রথমবারের মতো দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন মির্জা ফখরুল। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও এখন প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন দু’দিন পিছিয়ে দেয়ার কারণে প্রার্থীরা দু’দিন বেশি প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন। আইন অনুযায়ী সিটি নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগের প্রচার বন্ধ থাকবে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে পুরো নির্বাচনী এলাকা। তবে বাড়তি এই সময়কে কাজে লাগাতে মরিয়া প্রার্থীরা। বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা বসে নেই। তারা দিনরাত এখন নির্বাচনের মাঠে। ঢাকা উত্তরের তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণের ইশরাক হোসেন এখন প্রতিদিনই নির্বাচনী প্রচারে দলের সিনিয়র নেতাদের পাশে পাচ্ছেন। সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দল মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের জন্য ভোট চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই প্রথম দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোন নেতা ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে নামলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশে বাইতুল মোশাররফ জামে মসজিদের কাছ থেকে বিএনপি মহাসচিব গণসংযোগ শুরু করেন। ঢাকা উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে সঙ্গে নিয়ে এদিন তিনি জনসংযোগে নামেন। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী প্রচারে প্রতিদিনই সিনিয়র নেতাদের দেখা যাচ্ছে। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচারে নামেন ইশরাক হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা। সকাল ১০টায় রাজধানীর মিরপুরের ৬ নম্বরের সেকসন থেকে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে অবশ্যই তাবিথ আউয়াল জয়ী হবেন। নির্বাচনকে আমরা খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এটা জনগণকে সম্পৃক্ত করার আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। বিশ্বাস করি, জনগণ যদি সম্পৃক্ত হয় তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। এছাড়া ঢাকা শহরের মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য তাবিথ আউয়াল যে কর্মসূচী নিয়েছেন জনগণকেও তাতে সম্পৃক্ত হতে হবে। তাহলে তাবিথের বিজয় সুনিশ্চিত। নির্বাচন কমিশন তাদের যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। এই নির্বাচন কমিশন অযোগ্য। কখনই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি। তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে মির্জা ফখরুল ভোটারদের কাছে যান। এ সময় রাস্তার দুই পাশে নানা বয়সের মানুষের হাতে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর লিফলেট তুলে দেন। ধানের শীষ হাতে নিয়ে তাবিথও রিক্সাচালক, ঠেলাগাড়ি চালক, দোকানদার, পথচারীর কাছে গিয়ে দোয়া ও ভোট চান। বিএনপি মহাসচিব ৪৫ মিনিট নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পর সেখান থেকে চলে যান। এছাড়াও এদিন তাবিথ আউয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নামেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তারা মিরপুর ৬ নম্বরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে পথসভা করেন। সেখানে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বিনা ভোটে নয়, মানুষের ভোটে নির্বাচিত হতে চায় বিএনপি ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচার এদিকে সোমবার সকাল থেকেই নির্বাচনী প্রচারের ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিএনপির দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ সরকার দলীয় প্রার্থী আমার বয়স নিয়ে সমালোচনা করেছে। তরুণ সমাজকে বলব আমার সঙ্গে থাকবেন। ভোট দেবেন। দেখিয়ে দেব তরুণরা নেতৃত্ব দিতে পারে। তিনি বলেন, এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও ঢাকা শহরের পরিবর্তন আনতে পারেনি। এখন একটি পরিবর্তন দরকার। আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ঢাকা শহরকে সুন্দর একটি বসবাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করব।
×