স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারী উপজেলায় তীব্র শীতে গত এক সপ্তাহে শতাধিক ডায়রিয়ায় রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। ওই হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায় বেডের সংখ্যা কম হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আক্রান্তদের সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তন ও খাদ্যের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, মহামারী আকার ধারণ করার মতো পরিস্থিতি নেই। সোমবার রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার চৎলাকান্দা গ্রামের মাফুজল হকের ছেলে কফিল উদ্দিন (৩৫) জানান, শক্রবার রাত থেকে হঠাৎ বমি আর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। আমি শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। অন্যদিকে ইছাকড়ি গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে মাফিয়ার (৭) বাবা বলেন, রাতে খেয়ে ঘুমানোর পর হঠাৎ পেট ব্যথার সঙ্গে বমি আর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। একই কথা বলেন, উপজেলা সোনাপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আলিফ (১৮), খাটিয়ামারী গ্রামের রিয়াজুলের ছেলে রফিয়াল হক (৭), চুলিয়ারচর গ্রামের রফিকুলের স্ত্রী মারুফা (২৫) সুতির পাড় গ্রামের মিজানুরের মেয়ে হাসিনা (২৪)।
এ ব্যাপারে রৌমারী সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, গত এক সপ্তাহে ও রবিবার এ পর্যন্ত শতাধিক ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং রোগী এখনও আসছেন। আশা করা যায় শীত ও ঠান্ডা কমে গেলে এসব রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।
রৌমারী হাসপাতালের দায়িত্বরত প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তাদের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক, পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
