ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশী প্যাভিলিয়নে পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ২১ জানুয়ারি ২০২০

 বিদেশী প্যাভিলিয়নে পণ্য কিনে  প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বিদেশী প্যাভিলিয়নে পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা দেশী পণ্যকে বিদেশী বলে চড়াদামে বিক্রি করছেন। অনেকে বিদেশী পণ্য মনে করে চড়াদামে তা কিনছেন। হরহামেশায় এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটলেও মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ছে না। বাণিজ্যমেলার প্রধান গেট দিয়ে ঢোকার পর বাঁপাশে ‘পাকিস্তানী প্যাভিলিয়ন’। সেখানে আট থেকে ১০টি দোকান রয়েছে। সেসব দোকানে নারীদের রেডিমেট থ্রি-পিস, টুপিস, খুরতি, শাড়ি, ওড়না, প্রশাধনী, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। অধিকাংশ দোকানে বিদেশী পণ্যের পাশাপাশি দেশী পণ্যের ছড়াছড়ি। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র দেশী পণ্য বিক্রি করছেন। তবে এই প্যাভিলিয়নের দুই-তিনটি দোকানে পাকিস্তানী শাল, চাদর ও বিভিন্ন পোশাক বিক্রি করতেও দেখা গেছে। নুসরাত নামে মিরপুরের এক নারী বলেন, বিদেশী প্যাভিলিয়নে দেশী পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। দেশী পণ্যকে বিদেশী বলে বিক্রি করছেন দোকানিরা। আমি একটি পাকিস্তানী থ্রি-পিস কিনেছি এই প্যাভিলিয়নে থেকে। কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখেছি, অনেকে দেশী থ্রি-পিস বিদেশী বলে দেখাচ্ছে। পাশেই তৈরি করা হয়েছে ‘মালয়েশিয়া প্যাভিলিয়ন’। সেখানেও দেশী পণ্যের ছড়াছড়ি। ঢুকতেই একটি জুতার দোকান সামনে পড়ে। এ দোকানে জাহাঙ্গীর নামে একজন বিক্রেতা জানান, তারা দেশী-বিদেশী জুতা বিক্রি করছেন। মেলার শুরু থেকেই তাদের দোকানে দেশী-বিদেশী জুতা বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি জানান, মিরপুর-১১ নম্বরে তাদের দোকান রয়েছে। মেলায় দোকান নিতে অনেক ব্যয় হওয়ায় দোকানের চেয়ে একটু বেশি দামে জুতা বিক্রি করা হচ্ছে। অপর পাশে ‘ইরানী প্যাভিলিয়ন’। তাতে রতœপাথর, বোরকা, কসমেটিকস, প্রেসারকুকার, মসলা ইত্যাদি পণ্যে ভরপুর। প্রেসারকুকারের ব্র্যান্ড ‘কিয়াম’ নিজেদের আলাদা প্যাভিলিয়ন থাকার পরও ইরানী প্যাভিলিয়নে কিয়ামের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। মিরপুর-১১ থেকে প্রেসারকুকার কিনতে আসা পারভিন আক্তার বলেন, ইরানী পণ্য কেনার জন্য ঢুকে দেখি দেশী পণ্য। এটা প্রতারণা ও ¯্রফে মানুষকে বিভ্রান্ত করার ফন্দি। পাকিস্তানী পণ্য সম্ভারের পাশেই ‘ভারতীয় পণ্য সম্ভার’। বিভিন্ন ধরনের কাশ্মীরী শাল নিয়ে এসেছেন ভারতীয় নাগরিক খুরশিদ আহমেদ। শালের দাম ৪০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খুরশিদ আহমেদ জানান, ভারতীয় প্যাভিলিয়নের ভেতরে তিনিই একমাত্র ভারতীয় পণ্য বিক্রি করছেন। অন্যরা বিভিন্ন দেশের পণ্য নিয়ে এসেছেন। জানতে চাইলে মেলা আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব আব্দুল রউফ বলেন, বিদেশী প্যাভিলিয়নে দেশী পণ্য বা এক দেশের নাম নিয়ে অন্য দেশের পণ্য বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের চার টিম কাজ করছে। মেলার মধ্যে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
×