ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বীকৃত ল্যাবের অভাবে বাড়ছে না মধু রফতানি

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ২১ জানুয়ারি ২০২০

 স্বীকৃত ল্যাবের অভাবে বাড়ছে না মধু রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাবের অভাবে বাড়ছে না মধু রফতানি। দেশীয় মধু নিয়ে নেতিবাচক ধারণার কারণে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের দখলে অভ্যন্তরীণ বাজার। ভাল দাম না পাওয়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদনে আগ্রহী নন চাষিরা। এতে কোন কাজে আসছে না বছরে ৪-৫ লাখ টন মধু উৎপাদনের সক্ষমতা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ল্যাব না থাকায় মধুর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিদেশী ক্রেতারা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, চাপ দিয়েও দেশের ল্যাবগুলোকে এ্যাক্রিডেটেড করানো যাচ্ছে না। মানিকগঞ্জের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম এ বছর ১২ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। পাশেই করছেন মধু চাষ। তিনি বলছেন, ১২ বিঘা জমিতে ৪০ মণ সরিষা পাবেন, সেই সঙ্গে পাবেন ৫০ মণ মধু। তিনি বলেন, ৪০ মণ সরিষা ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ মণ মধুও পাব, যা লাখ দেড়েক টাকায় বিক্রি করতে পারব। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, মৌমাছির পরাগায়নে ফসলের ফলন বাড়ে ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত। সরকারী হিসাব, দেশে বছরে সাড়ে ৬ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। যার মাত্র ১০ শতাংশ জমি থেকে মধু আহরণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বছরে মাত্র ১০ হাজার টন মধু উৎপাদন হচ্ছে। সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগানো বছরে আরও ৪-৫ লাখ টন মধু উৎপাদন সম্ভব। তবে মৌ চাষিরা নায্যমূল্য না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে না মধু চাষ। ফলে দেশে মধুর বাজারের ৬০ শতাংশই দখলে রেখেছে ভারত। সম্প্রতি ডেনমার্ক থেকে মধু প্রক্রিয়াজাতকারী অত্যাধুনিক মেশিন এনেছে বিসিক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে প্রক্রিয়াজাত প্রতিকেজি মধু রফতানিতে বাড়তি মূল্য সংযোজন হবে ২০০ টাকা। ইপিবির তথ্য ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে স্বল্প পরিমাণে মধু রফতানি হচ্ছে। যার বেশিরভাগই কাঁচা মধু। আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো।
×