ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে আইজিপি কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধণ

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২০ জানুয়ারি ২০২০

বরিশালে আইজিপি কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধণ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপ (আইজিপি কাপ-২০২০) বরিশাল রেঞ্জের আন্তঃজেলা টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সোমবার বেলা ১১টায় উদ্বোধণ করা হয়েছে। বরিশাল পুলিশ লাইন্স মাঠে বেলুন-ফেস্টুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধণ করেন বরিশাল রেঞ্জ উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম বার, পিপিএম। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম বার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেঞ্জ ডিআইজি পুলিশ সদস্য ক্রিকেট খেলোয়ারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্রিকেট খেলা আজ বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নিয়ে গেছে। একসময় বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল টিম জাতীয় পর্যায়ে অনেক ভূমিকা পালন করেছে। নতুন করে আমাদের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ক্রিকেট খেলা চালু করা হয়েছে। এখান থেকে পুলিশ সদস্য খেলোয়াররা একদিন জাতীয় পর্যায়ে দেশের সম্মান উজ্জল করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রাকিব, ফরহাদ সরদার, নাইমুল হক সহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বরিশাল রেঞ্জের আন্তঃজেলা ক্রিকেট (আইজিপি কাপ) প্রতিযোগিতায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলাসহ বরিশাল আরআরএফ (আমর্ড পুলিশ) টিম অংশগ্রহন করেছেন। উদ্বোধণী খেলায় বরিশাল আরআরএফ (আমর্ড পুলিশ) ও ভোলা জেলা পুলিশের দশ অংশগ্রহন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর একইদিন দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের ড্রীলসেড সম্মেলনস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, সার্কেলসহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও ক্যাম্প ইনচার্জদের বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল রেঞ্জের (ডিআইজি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম বার, পিপিএম বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের পুলিশ বিশেষভাবে কাজ কর্মের সফলতার মাধ্যমে নিজেদেরকে আরও উন্নত করবেন। মানুষ যেন বলে ১০ বছর পূর্বের পুলিশ আর আজকের পুলিশ এক নয়, তাহলে আমরা সুনাম ও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ বিপদগ্রস্থ হয়ে পরার পর সর্বশেষ আশ্রয়স্থল থানায় এসে হাজির হয়। সেই সকল মানুষ কোনভাবেই যেন প্রতারিত না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে আমাদের অফিসারদের কাজ করতে হবে। আমরা হয়তো সকলের উপকার করতে পারব না কিন্তু পুলিশ দাঁড়া যেন কারও ক্ষতি না হয়। থানায় কোন অভিযোগ আসলে তা কর্তব্যরত অফিসার নিরপক্ষভাবে তদন্ত করবেন। ডিআইজি পুলিশ অফিসারসহ সকল সদস্যদেরকে জোড়ালোভাবে বলেন, থানা যেন সাধারণ মানুষের জন্য ভিতিকর জায়গা না হয়। সবশেষে কল্যাণ সভার মাধ্যমে ডিআইজি পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার অবসরজনিত সাত পুলিশ সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিয়েছেন। একইসময় দায়িত্বশীল কর্তব্য পালনে সুনাম অর্জন করায় জেলার বিভিন্ন থানার পাঁচজন অফিসার ইনচার্জকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
×