ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লাহোরে টাইগারদের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ২০ জানুয়ারি ২০২০

  লাহোরে টাইগারদের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফর। ইতোমধ্যে সফরসূচী চূড়ান্ত হয়েছে, দু’দলই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আড়াই মাসের ব্যবধানে তিন ধাপে পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম ধাপে ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ। টাইগারদের জন্য নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যবস্থা করছে স্থানীয় প্রশাসন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পাঞ্জাব প্রাদেশিক প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করেছে। ক্রিকেটারদের হোটেল এবং মাঠে যাওয়ার পথেও থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লাহোরে টাইগারদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে ১০ হাজার পুলিশ। ওদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসানও সফরসঙ্গী হবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। রবিবার দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাজুমল বলেন, ‘আমার ইমার্জেন্সি কালকে (আজ) রাতে একটু বাইরে যেতে হচ্ছে। আবার আমি চলে আসব ২২ তারিখে। সুতরাং আমি ওদের সঙ্গে যেতে পারছি না। তো ওরা আবার ভাববে যে আমি আবার কোথাও চলে যাচ্ছি। আমি বলেছি যে, আমি ২৩ তারিখ ওখানে গিয়ে তোমাদের সঙ্গে দেখা করব।’ দল কখন যাবে, সাপোর্ট স্টাফ কারা কারা থাকছে, সে বিষয়ে কথা বলেন পাপন। তিনি বলেন, ‘সাপোর্ট স্টাফ কারা যাচ্ছে বা যাচ্ছে না এটা মেক সিউর করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তো এটা নিয়ে বসব। যাওয়া-আসার (খেলোয়াড়দের) ব্যাপারটাও দেখব এখন। কিভাবে যাচ্ছি, ভ্রমণের সেরা উপায়টা কী? ওরা ২২ তারিখ রাতে রওনা দিয়ে ২৩ তারিখ সকাল ১০টায় গিয়ে পৌঁছাবে।’ তার সফরসঙ্গী হিসেবে কারা থাকবেন পাকিস্তানে? এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাপন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট থাকবে, পরিচালকের আবার দরকার আছে নাকি? থাকবে ইনশাল্লাহ। থাকবে সবাই। আমি জিজ্ঞেস করলাম নান্নু যাচ্ছে? বলে নান্নু যাচ্ছে। এরপর জিজ্ঞেস করলাম, আকরাম যাচ্ছে, পরে বলে যে, মনে হয় যাচ্ছে। তো আমি বললাম, যে মনে হয় না। এখনই কনফার্ম কর আমাকে। কে কে যাচ্ছে। আমরা চাচ্ছি যে আমরা সবসময় যেভাবে ট্যুরে যাই ওভাবেই যাব।’ লাহোরে ব্যাপক নিরাপত্তা কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এবং স্টেডিয়ামের ভেতর-বাইরে যাওয়ার পথে পূর্ণমাত্রায় তল্লাশি চালানো হবে। বাংলাদেশ দলের কোন সমস্যা হলে দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তৈরি থাকবেন ১৯ জন বিশেষ কর্মকর্তা, সামরিক কমান্ডো এবং রেঞ্জার্স। পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি২০’র জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি খেলা দেখতে আসা সাধারণ দর্শকদের বিষয়টিও মাথায় রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী মোহাম্মদ বাশারাত রাজা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে (পাঞ্জাব সরকারের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি) নির্দেশ দিয়েছেন সময়মতো সকল প্রস্তুতি গুছিয়ে নেয়ার।
×