ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি আছে এক বছর

১৪ বছর পর রায় পেয়ে কাঁদলেন অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ২০ জানুয়ারি ২০২০

 ১৪ বছর পর রায় পেয়ে কাঁদলেন অধ্যক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন এক কলেজ অধ্যক্ষ। মাতৃভাষা কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম রবিবার বেলা ১১টায় মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। মামলার জাঁতাকলে পড়ে তিনি কলেজমুখী হতে পারেননি বহু বছর। টানা ১৪ বছর পরে উচ্চ আদালত মামলার রায় দিয়েছে। বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের একক বেঞ্চ গত বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাগেরহাট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখা হয়। যা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের পক্ষে রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়ায় বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে অপসারণ করা হয়েছিল। মোরেলগঞ্জের গাবতলা গ্রামের নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ১৯৯৯ সালে শরণখোলার মাতৃভাষা কলেজে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি যোগদান করেন। ২০০৭ সালে নানা অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিটি। এক পর্যায়ে কমিটির পক্ষ হয়ে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের দুটিসহ ৪টি মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি। যশোর বোর্ডের অধীনে থাকায় তৎকালীন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নজরুল ইসলামকে অধ্যক্ষ পদে বহালের নির্দেশ দেয়। কমিটির পক্ষ হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি এ নির্দেশের বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালে বাগেরহাট সাব জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন, যা নজরুল ইসলামের পক্ষে যায়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করেন বাদী জাহাঙ্গীর মুন্সি। উচ্চ আদালতের বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের একক বেঞ্চ গত বুধবার ৫৬৪/১৭ নং আপীলের রায়ে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট ও ঢাকায় আদালতের বারান্দায় কেটে গেছে তার ১৪টি বছর। সংসার চলে এখন স্বজনদের সহযোগিতায়। চাকরির বয়স আছে আর মাত্র ১ বছর। আদালতের রায় পেলেও সামনের একটি বছর তিনি অধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে পারবেন কিনা সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
×