ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ॥ ফুলে আচ্ছাদিত ক্যাম্পাস

প্রকাশিত: ১২:১১, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ॥ ফুলে আচ্ছাদিত ক্যাম্পাস

কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতের সকালের প্রথম প্রহর, কাছে কোথাও শোনা যাচ্ছে অতিথি পাখির কলরব, তার সঙ্গে ভেসে আসছে মোহনীয় সব ফুলের সৌরভ। বলছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্গলোকের শীতের সকালের এমনই একটি গল্পের কথা। হালকা শীত উপেক্ষা করে হাঁটতে হাঁটতে হয়ত নিজের অজান্তেই প্রতিটি শিক্ষার্থী হারিয়ে যাবে মোহনীয় ফুলের রাজ্য ১৭৫ একরের এ চিরযৌবনা ক্যাম্পাসে। রাস্তার দু’পাশে বাহারি সব ফুল আর তার থেকে ছড়ানো মাদকতার সৌরভ সব মিলিয়ে এ যেন কোন এক নৈসর্গিক পুষ্প উদ্যান। ভোরের প্রথম আলোর সঙ্গেই সৌন্দর্য ছড়াতে থাকে সহস্র গাছের বাহারি এ ফুলগুলো। রাস্তার দু’পাশ, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, প্রশাসনিক ভবন, প্রকৌশল অফিস, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, চিকিৎসাকেন্দ্র কিংবা হল বা অনুষদ সর্বত্রই চোখে পড়ে ফুলের এ প্রাচুর্য। মনে হয় শিল্পী যেন তার নিজস্ব শৈল্পিকতায় আপন মনে প্রকৃতির পটে এঁকেছে ১৭৫ একরের ক্যানভাসে বিশাল এক চিত্র। যার অলঙ্করণে ব্যবহার করেছেন গোলাপ, গাঁদা, রঙ্গন, একজিরা, চন্দন মল্লিকা, কসমচ, টগর, জবা, ঝাউ, হাসনাহেনা, বেলি, পাতাবাহার, টাইম ফুল, ঢালিয়া, ফায়ার বল, জিনিয়া, নয়ন তারা বা পপিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছে বিনোদনের বড় খোরাক এ ফুলের বাগানগুলো। বলতে গেলে মানসিক প্রশান্তির একটি বড় জায়গাও বটে। ব্যস্ত দিনের ক্লাস, পরীক্ষার ফাঁকে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সতেজতায় পুনরায় উদ্যমী করে তুলতে ফুলের অকৃত্রিম এমন সৌন্দর্যের বিকল্প অন্যটি আর নেই। বিকেল বেলা লেকের পাশে হাঁটতে হাঁটতে মনে হতেই পারে বিচরণ করছি বিশাল কোন এক পুষ্পকাননে। এ বিষয়ে স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী নূরানী নাহরিন মিম বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রোপণ কৃত ফুলের গাছগুলো সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে করেছে সুন্দর থেকে সুন্দরতম। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান শায়লা বলেনÑ নিঃসন্দেহে এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছের চারা লাগাই, তখন এটি যেমন ক্যাম্পাসের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে বর্ধিত করে ঠিক তেমনি একজন শিক্ষার্থীর তার ক্যাম্পাসের প্রতি ভাললাগা ও দায়িত্ববোধের জায়গাটা আরও সম্প্রসারিত করে তাদের সৃজনশীল মননশীলতার মাধ্যমে। শাহীন আলম
×