ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রুশোকে ধরতে পারেননি মুশফিক

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

রুশোকে ধরতে পারেননি মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) সমাপ্ত হয়েছে। ফাইনালে শিরোপা লড়াইয়ের মধ্যে ছিল ব্যাট-বলে ক্রিকেটারদের মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। আসর শেষে ব্যাটিং-বোলিং নৈপুণ্যে কে শীর্ষে থাকবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা ছিল খুলনা টাইগার্সের সতীর্থদের মধ্যেই। ফাইনালের আগে ব্যাটিংয়ে খুলনার দক্ষিণ আফ্রিকান রাইলি রুশোর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন দলটির অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে ফাইনালে রুশো ৩৭ রান করে সবমিলিয়ে ৪৯৫ রানে থামেন আর মুশফিক ২১ রান করালে তার পেছনে থেকে শেষ করেন ৪৯১ রান নিয়ে। আর বোলিংয়ে শীর্ষে থাকা মুস্তাফিজুর রহমান ও দুইয়ে থাকা রুবেল হোসেনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল খুলনার তিন পেসার মোহাম্মদ আমির, রবি ফ্রাইলিঙ্ক ও শহীদুল ইসলামের। তারাও পারেননি। আমির ও ফ্রাইলিঙ্ক ২০ উইকেট নিলেও কম ম্যাচে সমানসংখ্যক উইকেট নিয়ে শীর্ষে রংপুর রেঞ্জার্সের মুস্তাফিজ। শহীদুল ১৯ উইকেট নিয়ে ৫ নম্বরে থেকেই শেষ করেছেন। মুশফিক এবার দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে ২ হাজার রান পূর্ণ করেন। পরে তিনি তামিম ইকবালকে ছাড়িয়েও গেছেন। এখন বিপিএলে মুশফিকের রান ২২৭৪। আর তামিমের রান ২২২১। এছাড়া নির্দিষ্ট এক ভেন্যুতে টি২০ ক্রিকেটে বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ২ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়ে যান তিনি। এক আসরে এর আগে তামিম সর্বাধিক ৪৭৬ রান করেছিলেন, এবার তাকে টপকে নতুন মাইলস্টোন তৈরি করেছেন মুশফিক। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে তিনি ১৪ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ৭০.১৪ গড় ও ১৪৭.০০ স্ট্রাইকরেটে ৪৯১ রান করেছেন এবার। তবে রুশো ফাইনালে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন। মুশফিকের সতীর্থ রুশোর রান সমান ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ৪৫.০০ গড় ও ১৫৫.১৭ স্ট্রাইকরেটে ৪৯৫। শীর্ষ ৫ জনের খুব কাছাকাছি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইমরুল কায়েস (১৩ ম্যাচে ৪৪২) ও ঢাকা প্লাটুনের তামিম (১২ ম্যাচে ৩৯৬)। এছাড়া রাজশাহীর আফিফ ১৫ ম্যাচে ৩৭০ ও রংপুরের মোহাম্মদ নাইম শেখ ১২ ম্যাচে ৩৫৯ রান করেছেন। ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছেন খুলনার নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলিংয়ে শীর্ষ ৫টি স্থানে বাংলাদেশের ৩ জন। ২০ উইকেট করে নিয়ে ক্রমানুসারে প্রথম চারটি স্থানে রংপুরের মুস্তাফিজ, খুলনার আমির, চট্টগ্রামের রুবেল ও খুলনার ফ্রাইলিঙ্ক। খুলনার শহীদুল ১৯ উইকেট নিয়ে এককভাবে পঞ্চম স্থানে। এছাড়া আসরের শুরু থেকে দীর্ঘদিন শীর্ষে থাকা চট্টগ্রামের বাঁহাতি পেসার মেহেীদ হাসান রানা ১০ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে শেষ করেছেন ৬ নম্বরে থেকে। সেরা বোলিং নৈপুণ্য আমিরের, তিনি ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বিপিএলের ইতিহাসেই রেকর্ড গড়েছেন।
×