ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৬৪৪ সোলার বাতি বসাতে খরচ ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা

রাজশাহীর মেঠোপথ রাতেও আলোকিত

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

রাজশাহীর মেঠোপথ রাতেও আলোকিত

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ বর্তমান সরকারের আমলে স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রচেষ্টায় শতভাগ বিদ্যুত সুবিধা ভোগ করছেন রাজশাহীর চারঘাট-বাঘার মানুষ। সেই চারঘাটে এবার বাড়তি আলোর বিচ্ছুরণ ঘটছে পথে-ঘাটেও। এখন সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে উপজেলার গ্রামের মেঠোপথ, বিভিন্ন মোড়, ছোটখাটো বাজার ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। একটা সময় ছিল যখন সন্ধ্যা বা রাতে গ্রামের রাস্তা ধরে কোথাও যাওয়ার কথা ভাবতেই অনেকের মনে কাজ করত অজানা আশঙ্কা। সেই অজানা শঙ্কায় আর আতঙ্কিত হন না রাজশাহীর চারঘাট উপজেলাবাসী। এখন সন্ধ্যা নামলেই উপজেলার গ্রামের রাস্তায় জ্বলে ওঠে আলোর ঝলক। কারণ উপজেলাজুড়ে ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪৪টি সোলার প্যানেলের বাতি বসানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারের কার্যকর প্রতিফলন এই আলোকায়ন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর কর্তৃক গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় এই সোলার প্যানেল বাতি বসানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে হোম সিস্টেম (ডিসি), সোলার এসি সিস্টেম ও স্ট্রিট সৌরবিদ্যুত বাতি। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, চারঘাট পৌরসভাসহ উপজেলার সদর, ইউসুফপুর, সরদহ, শলুয়া, নিমপাড়া ও ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত স্থানগুলো এ সকল বাতির আলোয় আলোকিত হচ্ছে। যার সুফল পাচ্ছেন চারঘাটবাসী। রাত-বিরাতে নিঃসংকোচে যাতায়াত করছেন, সারছেন প্রয়োজনীয় কাজ। এমন আলোকায়নে আনন্দ প্রকাশ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। তারা জানান, একটা সময় ছিল যখন সন্ধ্যা নামলেই গ্রামের মেঠোপথ মানেই ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। অন্ধকারে পথ চলতে গা শিউরে উঠত। রাত হলে রাস্তায় দেখা মিলত না কোন মানুষের। গ্রামের সে চিত্র এখন অনেকটাই পাল্টাতে শুরু করেছে। গ্রামের মেঠোপথ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির এখন রাতে সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে। নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়ন এলাকার যেখানে মানুষের চলাচল রয়েছে, সেসব স্থানে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে আলো পৌঁছানো হচ্ছে। রাতের আঁধারে সৌর বিদ্যুতের আলোয় নিরাপদে মানুষ চলাচল করছে। রাস্তাগুলো আলোকিত হওয়ায় এখন রাতে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই কমে গেছে। উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুল জানান, বর্তমান সরকার জনগণের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। এক সময় গ্রামে বিদ্যুত থাকলেও রাস্তা বা এলাকার মোড়ে কোন আলোর ব্যবস্থা ছিল না। গত বছর থেকে এই ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে গ্রামের রাস্তায় লম্বা খুঁটির সাহায্যে স্ট্রিট লাইট দেয়া হয়েছে। এতে গ্রামের চিত্রটা পাল্টে গেছে। এখন রাতে গ্রামে আলোময় হয়ে থাকছে। গ্রামের মানুষ রাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন।
×