ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পারমাণু চুল্লি অস্বস্তি বাড়াবে আরব উপদ্বীপে

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

পারমাণু চুল্লি অস্বস্তি বাড়াবে আরব উপদ্বীপে

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পারমাণবিক চুল্লি আরব উপসাগরে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। যখন পৃথিবীর সুস্থতা রক্ষার কথা আসে তখন জীবাশ্ম জ্বালানি ক্রমবর্ধমান বিতর্কিত শক্তির উৎস হয়ে দাঁড়ায়। পারমাণবিক অভিজ্ঞতা এবং বেসামরিক প্রযুক্তিটিকে সামরিক ব্যবহারে রূপান্তরিত করার সম্ভাবনা দেখে পারমাণবিক চিন্তাধারা আরও তাতপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। খবর আলজাজিরার। আরব উপদ্বীপের মতো ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই অঞ্চলে যখন পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র চালু করা হবে তখন ঝুঁকিগুলো আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। যদিও এখান থেকে এই অঞ্চলের এগিয়ে যাওয়া শুরু হবে তাই, চলতি সপ্তাহে কয়েক বছর বিলম্বের পর মার্চ মাসের শেষের দিকে আবুধাবির আল ধাফরা অঞ্চলে চারটি পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে প্রথমটি আনতে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত যা দেখবে বিশ্ব। এই পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রটির নাম রাখা হয়েছে বারাকাহ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন আহমদ আল জাবের আবুধাবি টেকসই সাপ্তাহিক সম্মেলনে এ সপ্তাহের শুরুতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা নিরাপদ, বাণিজ্যিক ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি সরবরাহকারীর জন্য এই অঞ্চলে প্রথম দেশ হয়ে উঠব’। তবে কিছু পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ এটিকে সহজভাবে না নিয়ে বরং পারমাণবিক অস্ত্রের লড়াই থেকে শুরু করে পরিবেশ বিপর্যয় পর্যন্ত বারাকাহ দ্বারা পরিচালিত হওয়া সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিউ রিএ্যাক্টর শীর্ষক অলাভজনক পারমাণবিক পরামর্শদাতা দলের (গাল্ফ পারমাণবিক উচ্চাকাক্সক্ষা) চেয়ারম্যান পল ডরফম্যানের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বারাকাহর নক্সায় ঝুঁকিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যার সর্বাধিক বিশিষ্ট লাল পতাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে বারাকাহ- কোরিয়া ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন (কেপিসিও) নির্মাণের চুক্তিটি।
×