স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে চাকরি নেয়ার মামলায় দুই পুলিশ সদস্য আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাদের আটক করে। পাশাপাশি জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র দিয়ে পুলিশে চাকরি নেয়ার ঘটনা যাচাইবাছাই করার জন্য আটককৃতদের তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ফকিরের ছেলে ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৮৭৩ মিনাজ হোসেন এবং যশোর সদরের বলরামপুর-মাথাভাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল ৬০৫৯ নাসির উদ্দিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মোকলেছুজ্জামান জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে যশোর পুলিশ লাইন মাঠে পুলিশ কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ করা হয়। নিয়োগ বিধির ৪ নম্বর কলামে নিয়োগকৃতরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে কাগজপত্র দাখিল করে। পুলিশের হেডকোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদনে জানা যায় তাদের দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র ভুয়া। যশোর পুলিশ লাইনের আরআই এম মশিউর রহমান বাদী হয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা স্ব-স্ব কর্মস্থলে ওই মামলার আসামিদের আটকের জন্য পত্র প্রেরণ করেন। তারই আলোকে আসামিদের আটকের জন্য নজরবন্দীতে রাখে তাদের ইউনিটগুলো। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৮৭৩ মিনাজ হোসেন এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল ৬০৫৯ নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তবে জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র দিয়ে চাকরি নেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুইজনকে তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
