ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

চার জেলার পরিবেশনায় মুখরিত বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

চার জেলার পরিবেশনায় মুখরিত বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরো আঙ্গিনাজুড়ে প্রাণের কলরব। শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চসহ মাঠজুড়ে ছড়িয়েছে আনন্দ আয়োজন। দর্শকরা উপভোগ করছেন দেশের প্রতি জেলার শিল্পীদের নৃত্য-গীতে সজ্জিত আঞ্চলিক পরিবেশনা। শেকড়ের সংস্কৃতির ¯্রােতধারায় এভাবেই মুখরিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব। তিন জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তিন সপ্তাহব্যাপী উৎসবের ১৪তম দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন বিকেল থেকে রাত অবধি উপস্থাপিত হয়েছে ভোলা, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ ও ঝিনাইদহ জেলার পরিবেশনা। উন্মুক্ত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দর্শনীর বিনিময়ে দর্শকরা উপভোগ করেছেন গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য অষ্টক পালা। উৎসবের চৌদ্দতম দিনে বিকেলে নন্দন মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ছিল শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় এ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। আজহারুল হক আজাদের পরিচালনায় আবৃত্তি পরিবেশন করে বাক শিল্পাঙ্গন। ভোলা জেলার পরিবেশনার শুরুতে ছিল সম্মেলক সঙ্গীত। গানের সুরে উঠে আসে আঞ্চলিক ঐতিহ্য ও উন্নয়নের গান। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে মঞ্জুর আহমেদ, রেহানা ফেরদৌস, উত্তম ঘোষ, মৃদুল, শ্যামলী, মিতু, রূপা, সুমাইয়া প্রমুখ। দেশাত্মবোধক গানের সুরে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে মুনা, তানজিন, অথৈ, দোলা, হোসেন, হাসিব, চিন্ময়, শাওন ও অভি। একক সঙ্গীত পরিবেশন মঞ্জুর আহমেদ ও রেহানা ফেরদৌস। দেশের গানে যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার, মীর আনোয়ার, নিলয় ও ইমন। সুনামগঞ্জ জেলার শিল্পীরা গেয়ে শোনায় ‘এ মাটি নয় জঙ্গীবাদের’ ও ‘এখন পদ্মা মেঘনা সুরমা বহমান’। ‘কোন গাঙ্গে আইলো পানি’ এবং ‘বাইজ্যোনারে শ্যামের বাঁশি’ গানের সুরে উপস্থাপিত হয় সমবেত নৃত্য। একক কণ্ঠে পাগল হাসান পরিবেশন করেন ‘আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা’ মাকসুদুর রহমান দিপু পরিবেশন করে ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে রশিদ উদ্দিন, আলী আকবর, কপিল ঋষি ও অমিত বর্মণ। সাতক্ষীরা জেলার পরিবেশনার শুরুতে ছিল আঞ্চলিক ও দেশাত্মবোধক গান। সম্মেলক কণ্ঠে গান দুটি পরিবেশন করে শ্যামল সরকার, কুমার ইন্দ্রজিত, শুভেন্দ্র সরকার, পার্থ, শহিদুল ইসলাম, সুস্মিতা সাহা, পূজা, তনিমা, শিরিনা ও দেবশ্রী। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নিুসরাত জাহান, অনন্যা সরকার, আঁখি, রিয়া, সাকিব, দেবাশিষ, দীপ্ত, রেজাউল ও মুক্তা। যন্ত্রসঙ্গীতের সুর মূর্ছনা ছড়ানোর পাশাপাশি একক ও সম্মেলক সঙ্গীত এবং সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ঝিনাইদহ জেলার শিল্পীরা। রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিমেয়ে মঞ্চস্থ হয় গাজীপুরের সুকলাল ম-ল পরিচালিত আলালপুরের রাজবাগ অষ্টকদলের অষ্টক পালা ‘চ-িদাস রজকীনি, অভিমন্যু বর, হালই গান’। নৃত্য-গীতে সজ্জিত লোকনাট্যটির বিভিন্ন চরিত্রে রূপ দিয়েছেন রতন বাসার, মঞ্জিলা গোলদার, দিরেণ বাওয়ালী, কমলেশ বাশার, অনুপম বিশ্বাস, দোলা বাশার, বন্যা মল্লিক, সাগরিকা মল্লিক ও নয়ন। শুক্রবার উৎসবের ১৫তম দিনে বিকেল ৩টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকবে ঐতিহ্যবাহী কাবাডি খেলা। বিকেল ৪টা থেকে একাডেমির নন্দন মঞ্চে পরিবেশিত হবে হবিগঞ্জ, খুলনা, দিনাজপুর ও নেত্রকোনা জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত ৮টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘গাজী কালুর কিচ্ছা’।
×