স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সন্ত্রাসীদের হামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবুর বড় ভাই কৌশিক প্রামানিক মিঠু (৫০) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কৌশিক প্রামানিক অলিম্পিক কোম্পানির রাজশাহীর ব্যবস্থাপক ছিলেন। এই কোম্পানিরই এক কর্মচারীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় কোম্পানির একজন গাড়িচালকও আহত হয়েছেন। তার নাম রাহুল। তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন রাহুল জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মহানগরীর সাগরপাড়ায় কোম্পানির গুদামে সজিবুল নামে এক কর্মচারী তাকে মারধর করছিল। কোম্পানির ব্যবস্থাপক কৌশিক প্রামানিক তখন তাকে রক্ষা করেন। এ কারণে ব্যবস্থাপকের ওপরও ক্ষিপ্ত হয় সজিবুল। তবে গুদামের ওই ঘটনার পর গাড়িতে ব্যবস্থাপককে সঙ্গে নিয়েই তিনি আবার বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নগরীর ধরমপুর আমজাদের মোড় এলাকায় সজিবুলের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একদল সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। এতে তারা দুজনই আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
রাহুল আরও জানান, মারপিটের শিকার হয়ে তারা দুজনেই অভিযোগ করতে নগরীর মতিহার থানায় যান। এরপরই ব্যবস্থাপক কৌশিক প্রামানিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তিনি পড়ে যান। তখন তাদের দুজনকেই রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক কৌশিককে মৃত ঘোষণা করেন।
নগরীর মতিহার থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, নিহত কৌশিক প্রামানিকের লাশ রামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নাটোরে বৃদ্ধা
নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, গুরুদাস পুরে মনোয়ারা বেগম নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পারগুরুদাসপুর পূর্বপাড়া মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মনোয়ারা বেগম অবঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাতেম আলীর স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আনারুল ইসলাম ও প্রতিবেশীরা জানান, উপজেলার পারগুরুদাসপুর পূর্বপাড়ার অবঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাতেম আলী, তার বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে নামাজ পড়তে মসজিদে যান বৃদ্ধ হাতেম আলী।
এরপর হাতেম আলীর বাড়ির ভেতর থেকে চিৎকার ও গোঙ্গানীর শব্দ শুনতে পেয়ে পাশের বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে মনোয়ারা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
এ সময় প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
