ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৭শ’ কোটি টাকায় চার সেতু

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

৭শ’ কোটি টাকায় চার সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১৬ জানুয়ারি ॥ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-আরকান মহাসড়কে প্রায় ৭শ’ কোটি টাকায় ৪টি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। স্প্রেকট্রা-সি আর ২৪ বি জয়েন্ট ভেনচার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু, চন্দনাইশ উপজেলার বরগুনি সেতু, দোহাজারী সাঙ্গু সেতু ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া মাতামুহরী সেতু রয়েছে। বাংলাদেশ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল (জাইকা) এর যৌথ অর্থায়নে সেতু ৪টি নির্মাণ করা হচ্ছে। ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সিবিআরএনআইপি) প্যাকেজের আওতায় মিডিয়াম সাইজের সেতুসহ সংযুক্ত সড়ক রয়েছে। নির্মাণ প্রকল্প সড়ক নং-এএইচ ৪১ (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার)। পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতুর টেস্ট ফাইলিং এর কাজ ইতোমধ্যে আড়াই মাস পূর্বে সম্পন্ন করা হয়েছে। মূল কাজ শুরু করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে শ্রমিক, মালামাল ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এনেছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মালামাল সরবরাহ (সাপ্লাই) করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেয়। ফলে পটিয়ায় কাজ বন্ধ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মালামাল ও শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতুটি নির্মাণ করা অতীব জরুরী। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মালামাল সাপ্লাই দেয়ার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কৌশলে পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু নির্মাণ কাজ না করেই শ্রমিক ও যন্ত্রাংশ সরিয়ে নিয়েছে। মেগা প্রজেক্টের উন্নয়ন কাজে বাধা দেয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মূলত কৌশলে মালামাল ও শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল (জাইকা) এর যৌথ অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু, চন্দনাইশ উপজেলার বরগুনি সেতু, দোহাজারী সাঙ্গু সেতু ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া মাতামুহরী সেতু নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্প্রেকট্রা-সি আর ২৪ বি জয়েন্ট ভেনচার। ২০১৮ সালের ২২ নবেম্বর কাজ শুরু করা হয়। ২০২১ সালের ২১ নবেম্বর গুরুত্বপূর্ণ সেতু ৪টির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৭শ’ কোটি টাকার এই কাজটি বাস্তবায়ন করছে। পটিয়া পৌর সদরের ইন্দ্রপুল এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ করতে প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুটি নির্মাণ করতে টেন্ডার হলেও বর্তমানে প্রভাবশালী ব্যক্তির বাধার কারণে ঠিকাদার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে শ্রমিকদের সরিয়ে নিয়েছেন। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবির কথা প্রচার রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্প্রেকট্রার পরিচালক জিয়াউল হক জিয়া জানিয়েছেন, ৭শ’ কোটি টাকায় তাদের প্রতিষ্ঠান ৪টি সেতু নির্মাণের কাজ পেয়েছে। তার মধ্যে পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতুটি ৫০ কোটি টাকা। এটির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। মূল কাজ শুরু করতে শ্রমিক, মালামাল সেতু এলাকায় নিয়ে গেলেও মালামাল সাপ্লাই দেয়ার জন্য বাইরের লোকজন চাপ সৃষ্টি করছে। তবে কারা চাপ সৃষ্টি করছে তা অফিসিয়াল জানায়নি। মেগা প্রজেক্টের পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু নির্মাণ কাজে মালামাল সাপ্লাই দেয়ার চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে তারা অন্য সেতুর নির্মাণ কাজে মালামাল নিয়ে গেছে। তাছাড়া পিডিবির বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হলেও তারা খুঁটি সরায়নি।
×