ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিসি’র বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে দলে নেই সাকিব

প্রকাশিত: ১২:১৫, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

আইসিসি’র বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে দলে নেই সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে এত দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েও, একের পর এক রেকর্ড গড়েও ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি’র বর্ষসেরা টেস্ট, ওয়ানডে দলে নেই বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। থাকবেনই বা কিভাবে? তিনি যে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার শাস্তি ভোগ করছেন। ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব তিনবার পেয়েছেন। একবারও আইসিসি’র এ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানাননি। অপরাধ করেছেন। সেই অপরাধেই শাস্তি পেয়েছেন। আর তাই আইসিসি সব স্থান থেকেই সাকিবকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বর্ষসেরা টেস্ট, ওয়ানডে দলেই নেই তাই সাকিব। গত বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্মেন্সে আলোচনায় ছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৬০৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। গত বছরের সেরা ব্যাটিংগড়ও ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের। ৯৩ গড়ে ১১ ইনিংসে করেন ৭৪৬ রান। আর মোট ১১ ম্যাচে উইকেট নেন ১৩টি। তবে আইসিসি’র ওয়ানডে দলে তিনি জায়গা হারান বেন স্টোকসের কাছে। বুধবার প্রকাশিত ২০১৯ সালের আইসিসি’র বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে সর্বোচ্চ চারজন সুযোগ পেয়েছেন ভারত থেকে। অধিনায়ক হিসেবে আছেন ভারতের বিরাট কোহলি। দুইজন করে আছেন ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের আছেন একজন করে। আইসিসি’র বর্ষসেরা টেস্ট দলের আটজন ট্রান্স-তাসমানিয়া অঞ্চলের। পাঁচজন অস্ট্রেলিয়ার ও তিনজন নিউজিল্যান্ডের। গত বছর টেস্টে সর্বোচ্চ রান করা মার্নাস লাবুশেন ব্যাটিং অর্ডারে তিনে সুযোগ পেয়েছেন। গত বছর ১১ টেস্টে ১১০৪ রান করা এই ক্রিকেটার এবার বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন। পাঁচ নম্বরে আছেন স্টিভেন স্মিথ। দুইজন আছেন ভারতীয়। আরেকজন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। টেস্ট দলেও অধিনায়ক হিসেবে আছেন কোহলি। স্টোকস, কোহলি ও মিচেল স্টার্ক দুই দলেই সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক টুর্নামেন্টে ন্যূনতম ৫০০ রান ও ১০ উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব। তবু আইসিসি’র গত বছরের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা হলো না। ভোটের মাধ্যমে বর্ষসেরা এ দল বাছাই করা হয়েছে। ভোট দিয়েছেন সংবাদমাধ্যম ও সম্প্রচারক সংস্থার সঙ্গে জড়িতরা। মোট ৪৩ জন ভোট দিয়েছেন আইসিসি’র এ ভোটিং একাডেমি থেকে। গত বছর ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্স বিবেচনা করে ভোট দিয়েছেন তাঁরা। গত বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন সাকিব। ২ সেঞ্চুরি এবং ৫ ফিফটি মিলিয়ে ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে করেছিলেন ৬০৬ রান। বিশ্বকাপে বোলিংয়ে ৮ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন। গত বছর ওয়ানডেতে সবমিলিয়ে আবার ১১ ম্যাচ খেলে মোট ৭৪৬ রান করেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা থাকায় এর আগে আইসিসি’র র‌্যাঙ্কিং থেকেও সাকিবের নাম তুলে নেয়া হয়। ওয়ানডেতেই যেখানে সুযোগ পাননি, সেখানে টেস্টে কিভাবে আসবেন সাকিব? তাই টেস্টের সঙ্গে ওয়ানডে দলেও নেই সাকিব।
×