ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৮৮ বছরের চন্দনার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্কভাতা

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

৮৮ বছরের চন্দনার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্কভাতা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরার ৮৮ বছরের বৃদ্ধা চন্দনা সরকার আর কত বয়স হলে পাবেন বার্ধক্য বা বিধবা ভাতা? সাত বছর আগে তার স্বামী পতিত পাবন সরকার মারা গেছেন। চার ছেলে ও তিন মেয়ের জননী তিনি। থাকেন অসুস্থ ছেলে জয়দেব সরকারের কাছে। জয়দেব ও তার স্ত্রী সুলতা সরকারও অসুস্থ। চন্দনার পুতনি পুষ্প রানী সরকার খলিষানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। বাবা মায়ের সঙ্গে ঠাকুর মাকে তিনিও দেখভাল করেন। তাই এখন পর্যন্ত কোন রকমে বেঁচে আছেন চন্দনা সরকার। এবারে তীব্র শীতে চন্দনা সরকার কাহিল হয়ে পড়েছেন। কারও তরফ থেকে মেলেনি একটি কম্বল। আশাশুনি সদর ইউনিয়নের শবদলপুর গ্রামের বৃদ্ধা চন্দনা সরকারের দিন কাটে পুতনির সংসারে। চন্দনা সরকারের বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম বলেন, বিধবা ও বয়স্কভাতার কার্ড দেয়ার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের। এ বিষয়ে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন বুধবার বিকেলে বলেন, বৃদ্ধা চন্দনা সরকারের কার্ড না পাওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। চাহিদা বেশি, কার্ড আসে কম। যারা আগে আসে তাদেরই প্রধান্য দেয়া হয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, সরকার নতুন করে ডাটাবেজ তৈরি করছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নতুন কোটায় তাকে কার্ড দেয়া হবে বলে তিনি জানান। বৃদ্ধা চন্দনা সরকারের বাকি তিন ছেলে ও মেয়েরা সবাই অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হলেও তারা মায়ের কোন খোঁজ খবর নেন না। তবে ছেলে জয়দেব শারীরিকভাবে অসুস্থ ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেও তিনি তার মাকে ঠিকমতো দেখাশোনা করার চেষ্টা করেন। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তিনি তার তার মায়ের কাপড় চোপড়ও ঠিকমতো কিনে দিতে পারেননা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেও তার মায়ের একটি বিধবা বা বার্ধক্য ভাতার কার্ড আজ পর্যন্ত জোটেনি বলে জয়দেবের অভিযোগ। এমনকি প্রচ- শীতে তিনি একটি কম্বলও পাননি। আর তাই ছেলে জয়দেবের জিজ্ঞাসা, আর কত বয়স হলে তার মা বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা পাবেন?
×