ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধার শোধের জন্য কিশোরী মেয়েকে মহাজনের হাতে তুলে দেয়া পিতা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১১:৫১, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

ধার শোধের জন্য কিশোরী মেয়েকে মহাজনের হাতে তুলে দেয়া পিতা গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে নিজের মেয়েকে মহাজনের হাতে ধর্ষণের জন্য তুলে দেয়ার অভিযোগে ওই কিশোরীর পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালত ওই পিতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি এবিএম মশিউর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, লিটন নামের ওই পিতার বিরুদ্ধে তার কিশোরী মেয়েকে একাধিকবার পাওনাদারের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। লিটন পেশায় ভ্যানচালক। তার স্ত্রী বিদেশে থাকেন। তারা কামরাঙ্গীরচরে থাকে। মেয়েটি তার পিতার সঙ্গে থাকত। লিটন ওই মুরগি ব্যবসায়ীর ওখানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালে মুরগি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন বলে কিশোরীর পিতার দাবি। কিশোরীর পিতা আরও দাবি করেন, ধারের টাকা তিনি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। টাকা শোধ করতে না পারায় মহাজন লিটনের কিশোরী মেয়েকে তার কাছে পাঠিয়ে দিতে বলে। সে নিরুপায় হয়ে তার কিশোরী মেয়েকে অনেক সময় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে অনেকটা অজ্ঞানের মতো করে রাখতেন। মহাজন তার বাড়িতে গিয়ে কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করত। এভাবে বেশ কয়েকবার কিশোরী ওই মহাজন কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। সর্বশেষ গত ১১ জানুয়ারি কিশোরী মহাজন কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর কিশোরী বিষয়টি তার এক প্রতিবেশীকে জানায়। ওই প্রতিবেশী বিষয়টি পুলিশকে জানায়। মঙ্গলবার রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। সেই সঙ্গে কিশোরীর পিতাকে আটক করা হয়। মুরগি ব্যবসায়ী মহাজন পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মহাজন দুইটি বিয়ে করেছে। তার বয়স আনুমানিক পঁয়ত্রিশ হবে। বুধবার লিটনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম লিটনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
×